ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চত্তরের গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

সরকার লুৎফর রহমান, গাইবান্ধা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চত্তরে গত ৯ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসনের নেয়া দিনমজুর হিসাবে গাছের ডাল পালা কাটতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১৩ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তি সুচিকিৎসার অভাবে মৃত বরণ করেছে বলে দাবি করছে স্বপন চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রাধা রানী। স্বপন চন্দ্র গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের 

কুঠিবাড়ী শশ্বান এলাকার সুটকু বিশ্বাসের ছেলে। 

৯ নভেম্বর উপজেলা চত্তরে গাছে উঠে ডাল পালা কাটার এক পর্যায়ে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। তার পরে যাওয়া দেখে স্থানীয়রা  উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার অবস্থা খারাপ হওয়ার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ট করে। পরে তাকে টিএমএসএস হাসপাতালে ও পরবর্তীতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দিলে সেই অর্থ যোগান দিতে না পারায় অবশেষে ১৩নভেম্বর  বুধবার সন্ধায় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে নিহত স্বপন চন্দ্র বিশ্বাস এর পরিবার সে সময় তার চিকিৎসার অর্থ সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছিলেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়ামিন সুলতানা স্বপন চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রাধা রানীকে অফিসে ডেকে নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে দিন ২শত টাকা হিসাবে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে কাজের আশ্বাস দেন। এবং ২৫ নভেম্বর তার স্বামীর সৎকারের জন্য নতুন করে আবেদন করলে ৫হাজার টাকা অনুদান দেন।

এদিকে স্বপন চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রাধারানী বলেন, তার স্বামী ছিল,সংসারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন। বর্তমানে এটাকায় তিনি কুলিয়া উঠতে পারছেন। ছেলে সন্তান নিয়ে কষ্টে আছেন।

এলাকাবাসী জানান, দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতিতে ২০০টাকা দিন হাজিরা দিয়ে একটি পরিবারের খাবার খরচ, সংসার চালানোই কঠিন,এছাড়া ৩ টি সন্তানের পড়াশুনা খরচ চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।

তাই প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি সু- বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়ামিন সুলতানা বলেন, কি কি সহযোগিতা তার পরিবারকে করেছি, তাদের কাছ থেকেই শোনেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চত্তরের গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চত্তরে গত ৯ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসনের নেয়া দিনমজুর হিসাবে গাছের ডাল পালা কাটতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১৩ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তি সুচিকিৎসার অভাবে মৃত বরণ করেছে বলে দাবি করছে স্বপন চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রাধা রানী। স্বপন চন্দ্র গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের 

কুঠিবাড়ী শশ্বান এলাকার সুটকু বিশ্বাসের ছেলে। 

৯ নভেম্বর উপজেলা চত্তরে গাছে উঠে ডাল পালা কাটার এক পর্যায়ে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। তার পরে যাওয়া দেখে স্থানীয়রা  উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার অবস্থা খারাপ হওয়ার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ট করে। পরে তাকে টিএমএসএস হাসপাতালে ও পরবর্তীতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দিলে সেই অর্থ যোগান দিতে না পারায় অবশেষে ১৩নভেম্বর  বুধবার সন্ধায় সে মারা যায়।

এ বিষয়ে নিহত স্বপন চন্দ্র বিশ্বাস এর পরিবার সে সময় তার চিকিৎসার অর্থ সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছিলেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়ামিন সুলতানা স্বপন চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রাধা রানীকে অফিসে ডেকে নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে দিন ২শত টাকা হিসাবে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে কাজের আশ্বাস দেন। এবং ২৫ নভেম্বর তার স্বামীর সৎকারের জন্য নতুন করে আবেদন করলে ৫হাজার টাকা অনুদান দেন।

এদিকে স্বপন চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রাধারানী বলেন, তার স্বামী ছিল,সংসারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন। বর্তমানে এটাকায় তিনি কুলিয়া উঠতে পারছেন। ছেলে সন্তান নিয়ে কষ্টে আছেন।

এলাকাবাসী জানান, দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতিতে ২০০টাকা দিন হাজিরা দিয়ে একটি পরিবারের খাবার খরচ, সংসার চালানোই কঠিন,এছাড়া ৩ টি সন্তানের পড়াশুনা খরচ চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।

তাই প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি সু- বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়ামিন সুলতানা বলেন, কি কি সহযোগিতা তার পরিবারকে করেছি, তাদের কাছ থেকেই শোনেন।