ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন ৫ থেকে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম বলেছেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন ৫ থেকে ৬টি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে পরেছে। বর্তমানে বাগেরহাট জেলা বিএনপিতে কোন একক নেতৃত্ব নেই, এখন জেলা বিএনপি একটি খিচুড়ি মার্কা দলে পরিনত হয়েছে।

আমি শুধু বলতে চাই আপনারা যদি এত গ্রæপিং বহিষ্কার খেলা করেন তাহলে নির্বাচন করবেন কাকে নিয়ে। আগামীতে দিনের ভোট আর রাতে হবে না, বিভিন্ন দল অংশ গ্রহণ করবে। তাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এখনই দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দলকে শক্তিশালি করতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট সদর হয়রত খানজাহান আলী (রহ) দরগা মাঠে আয়োাজিত তাকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময়ে তিনি আরও বলেন, যাদের রক্তের উপর দিয়ে আজকের যে স্বাধীনতা আপনারা পেয়েছেন ছাত্র আন্দোলনে নিহত সেই সব শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না।

হাকিমপুর মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোজাফ্ফ হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী, সাবেক যুবদল নেতা শেখ মাহবুবুর রহমান টুটুল, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি আতিয়ার সরদার, মহিলাদল নেত্রী মলি জাহিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এমএএইচ সেলিম নিজস্ব অর্থায়নে বাগেরহাটে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মান ও ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত বাগেরহাটে ৬ শহীদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে প্রদান করেন।

সিলভার লাইন গ্রæপের চেয়ারম্যান বাগেরহাট সদরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ এইচ সেলিম ৯০ এর দশকের শেষ দিকে বাগেরহাটের রাজনীতিতে আসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই প্রভাবশালী নেতা শেখ হেলাল উদ্দিনকে হারিয়ে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সংসদ সদস্য থাকাকালীন মুনিগঞ্জ সেতু, শহররক্ষা বাঁধ, মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ, বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি। বিএনপি ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে তিনি কারাবরন করেন। এরপর তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন থেকে তাকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে যেমন দেখা যায়নি, বাগেরহাটেও তেমন আসেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন ৫ থেকে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম বলেছেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন ৫ থেকে ৬টি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে পরেছে। বর্তমানে বাগেরহাট জেলা বিএনপিতে কোন একক নেতৃত্ব নেই, এখন জেলা বিএনপি একটি খিচুড়ি মার্কা দলে পরিনত হয়েছে।

আমি শুধু বলতে চাই আপনারা যদি এত গ্রæপিং বহিষ্কার খেলা করেন তাহলে নির্বাচন করবেন কাকে নিয়ে। আগামীতে দিনের ভোট আর রাতে হবে না, বিভিন্ন দল অংশ গ্রহণ করবে। তাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এখনই দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দলকে শক্তিশালি করতে হবে। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট সদর হয়রত খানজাহান আলী (রহ) দরগা মাঠে আয়োাজিত তাকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময়ে তিনি আরও বলেন, যাদের রক্তের উপর দিয়ে আজকের যে স্বাধীনতা আপনারা পেয়েছেন ছাত্র আন্দোলনে নিহত সেই সব শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না।

হাকিমপুর মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোজাফ্ফ হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী, সাবেক যুবদল নেতা শেখ মাহবুবুর রহমান টুটুল, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি আতিয়ার সরদার, মহিলাদল নেত্রী মলি জাহিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এমএএইচ সেলিম নিজস্ব অর্থায়নে বাগেরহাটে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মান ও ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত বাগেরহাটে ৬ শহীদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে প্রদান করেন।

সিলভার লাইন গ্রæপের চেয়ারম্যান বাগেরহাট সদরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ এইচ সেলিম ৯০ এর দশকের শেষ দিকে বাগেরহাটের রাজনীতিতে আসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই প্রভাবশালী নেতা শেখ হেলাল উদ্দিনকে হারিয়ে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সংসদ সদস্য থাকাকালীন মুনিগঞ্জ সেতু, শহররক্ষা বাঁধ, মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ, বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি। বিএনপি ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে তিনি কারাবরন করেন। এরপর তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন থেকে তাকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে যেমন দেখা যায়নি, বাগেরহাটেও তেমন আসেননি।