ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনও”কে স্মারকলিপি প্রদান গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদী হতে বালি উত্তোলন ও ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবৈধভাবে পদ্মা নদী হতে বালি উত্তোলন ও বালুবাহি ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও ইউএনও”কে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মাটিকাটা ইউনিয়নের জনসাধারণ।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা সদর গোলচত্বরে মানববন্ধন চলাকালে বকত্ব্য রাখেন, মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু, সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সেলিম সানোয়ার পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবীব, গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক ছাত্রনেতা মমিনুল ইসলাম রনক, যুবনেতা হিমেল, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বেদার উদ্দীন বিদুৎ, যুগ্ন আহবায়ক রোকনুজ্জামান, টমাস, জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য রাকিব রাজিব ও যুব নেতা বাসার প্রমূখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওকে) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বারকলিপি ও বন ও পরিবেশউপদেষ্টা, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসককে অনুলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে তিনটি বালুর ঘাট। বালু উত্তোলনের ফলে ঘন জনবসতি এলাকায় এবং কৃষি জমির উপর মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীর পদ্মা নদী থেকে যেভাবে বালু উত্তোলন চলছে তাতে নদীর তীর ক্ষয় হয়ে গ্রাম রক্ষা বাঁধের আশপাশের ঘর বাড়ী, রাস্তা এবং ফসলি জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, আবাদী জমি ও গ্রামীন রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এছাড়া নদীর তীরে জমি হারিয়ে আদি নিবাস থেকে উচ্ছেদ হতে বাধ্য হচ্ছে। ড্রাম ট্রাক, ট্রাক ও মাহেন্দ্রা দ্রæত গতিতে চলার ফলে ধুলাবালু উড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। চোখের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রæত গতিতে গাড়ী চলার কারণে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটছে। দুঘৃটনার কবলে পড়ে অনেকে প্রান হারিয়েছে। এমনকি অনেকে হাত পা হারিয়ে পুঙ্গত বরন করেছে। কমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে।
এছাড়া রাস্তার দুই পার্শ্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসরুম বালিতে ঢেকে যাচ্ছে এবং বালুবাহী ট্রাকগুলোর কারণে শব্দ দূষণ হচ্ছে। যাতে লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে বাড়ী ঘর ও হোটেলের খাবার গুলো বালি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বড় বড় ওভার লোড ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা ঘাট গুলোর মারাত্মকভাবে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইউএনও”কে স্মারকলিপি প্রদান গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদী হতে বালি উত্তোলন ও ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবৈধভাবে পদ্মা নদী হতে বালি উত্তোলন ও বালুবাহি ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও ইউএনও”কে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মাটিকাটা ইউনিয়নের জনসাধারণ।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা সদর গোলচত্বরে মানববন্ধন চলাকালে বকত্ব্য রাখেন, মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু, সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সেলিম সানোয়ার পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবীব, গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক ছাত্রনেতা মমিনুল ইসলাম রনক, যুবনেতা হিমেল, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বেদার উদ্দীন বিদুৎ, যুগ্ন আহবায়ক রোকনুজ্জামান, টমাস, জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য রাকিব রাজিব ও যুব নেতা বাসার প্রমূখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওকে) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বারকলিপি ও বন ও পরিবেশউপদেষ্টা, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসককে অনুলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে তিনটি বালুর ঘাট। বালু উত্তোলনের ফলে ঘন জনবসতি এলাকায় এবং কৃষি জমির উপর মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীর পদ্মা নদী থেকে যেভাবে বালু উত্তোলন চলছে তাতে নদীর তীর ক্ষয় হয়ে গ্রাম রক্ষা বাঁধের আশপাশের ঘর বাড়ী, রাস্তা এবং ফসলি জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, আবাদী জমি ও গ্রামীন রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এছাড়া নদীর তীরে জমি হারিয়ে আদি নিবাস থেকে উচ্ছেদ হতে বাধ্য হচ্ছে। ড্রাম ট্রাক, ট্রাক ও মাহেন্দ্রা দ্রæত গতিতে চলার ফলে ধুলাবালু উড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। চোখের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রæত গতিতে গাড়ী চলার কারণে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটছে। দুঘৃটনার কবলে পড়ে অনেকে প্রান হারিয়েছে। এমনকি অনেকে হাত পা হারিয়ে পুঙ্গত বরন করেছে। কমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে।
এছাড়া রাস্তার দুই পার্শ্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসরুম বালিতে ঢেকে যাচ্ছে এবং বালুবাহী ট্রাকগুলোর কারণে শব্দ দূষণ হচ্ছে। যাতে লেখাপড়ার সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে বাড়ী ঘর ও হোটেলের খাবার গুলো বালি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বড় বড় ওভার লোড ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা ঘাট গুলোর মারাত্মকভাবে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।