ইসকন নিষিদ্ধসহ দেশবিরোধী প্রচারণাকারীদের গ্রেফতার দাবি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
সৌউদিতে পবিত্র কাবা শরীফ অবমাননায় সৌদি সরকারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা, ইসকনকে নিষিদ্ধ করা ও চট্টগ্রাম (ইসলামাবাদ) নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া রিপাবলিক বাংলা-বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার দায়ে সমস্ত ভারতীয় চ্যানেলের এদেশীয় চিহ্নিত দোসরদের গ্রেফতার দাবি করে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাদ জুমা জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বীর চট্টলার সুন্নী জনতা।
বক্তারা বলেন, বক্তারা বলেন, সৌদির রাজধানী রিয়াদে, ফ্যাশন শো নামক অশ্লিল অনুষ্ঠানে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে পবিত্র কাবা শরীফ এর আদলে চিত্র তৈরী করে এবং তার চারপাশে নগ্ন নারীদের চুড়ান্ত পর্যায়ের নগ্নতার প্রদর্শন করে। যার দ্বারা সৌদি সরকার মুসলমানের ক্বিবলা পবিত্র কাবা শরীফকে অবমাননা করে ৩০০ কোটি মুসলমানের ঈমানে আঘাত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তিন’শ কোটি মুসলমানের ঈমানে আঘাত দেয়ায় সৌদি সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে।
চট্টগ্রাম মুসলিম নাগরিক অধিকার মসলিসের আহবায়ক মুহম্মদ অসিউল হুদা বর্তমান অন্তর্ভতী কালিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে ‘রিপাবলিক বাংলা’ নামে অখ্যাত এক ভারতীয় চ্যানেল, ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশের বিরোদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কথিত সংখ্যালগু নির্যাতনের নামে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশ করে আসছে। শুধু তাই না, এই অখ্যাত মিডিয়া বারো আউলিয়ার পূন্যভুমি চট্টগ্রাম এর উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে এবং চট্টগ্রাম কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচার করে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের উপর চরম ভাবে আঘাত করেছে।
রিপাবলিক বাংলার এই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে, উগ্র হিন্দুত্ববাধী ইসকন। সমস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিবাবক চিম্ময় কৃষ্ণ দাশ, গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রিপাবলিক বাংলায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল, বাংলাদেশে নাকি ৫৩ বছর যাবত হিন্দু নিপিড়ন চলছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী পতনের পর, দেশে হিন্দু মেয়েদের নাকি ধর্ষণ ও হয়েছে। আওয়ামী স্বৈারাচরের সহযোগীদের উপর রাজনৈতিক আক্রমণের বিষয়গুলোকে সাম্প্রদায়িকতার রং মেখে চরম ভাবে মিথ্যাচার করে সরকার ও দেশের বিরোদ্ধে অপপ্রচার মূলক কথা বলেছিলো রিপাবলিক বাংলা নামক অখ্যাত ভারতীয় মিডিয়ায়।অথচ গত ১৫ টা বছর এই হিন্দুত্ববাধীরাই সব চেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত সম্প্রদায় ছিলো।
সুতরাং আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারতীয় মিডিয়া রিপাবলিক বাংলার আড়ালে মূল ষড়যন্ত্রকারী হচ্ছে ইসকন ও উগ্র হিন্দু্ত্ববাধী চিম্ময় গংরা। তাদের উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রাম কে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে হিন্দু রাজ্য গঠন করা।
যার স্পষ্ট প্রমাণ, চট্টগ্রাম হাজারী গলিতে দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতিক সেনাবাহিনীর উপর ইসকন পন্থীদের সন্ত্রাসী হামলা। শুধু তাই না, এই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মিডিয়াতে সেনাবাহিনীর বিরোদ্ধে অপপ্রচার করে বলেছিলো, সেনাবাহিনী নাকি হিন্দুদের উপর নিপিড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে। সরাসরি রাষ্ট্র বিরোধী এই অপকর্মেও পরেও, কেন চিম্ময় গংদের আইনের আওতায় আনা হবেনা ? কেনো ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হবে না? মূলত ইসকন এর সৃষ্টিই হয়েছে দাঙ্গার মাধ্যমে একটি দেশকে অস্থিতিশীল করে রাখার উদ্দেশ্যে, যার মূলে রয়েছে ইহুদীরা।
আবু রুশদের লেখা- বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা- বাংলাদেশে ‘র’ বইয়ে লেখা আছে- ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। মূলতঃ এটা ইহুদীদের একটি সংগঠন বলে জানা গেছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। (বই- বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা- বাংলাদেশে ‘র’ পৃষ্ঠা:১৭১)
ইকনিদের দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা এই প্রথম না। তারা ২০১৪ সালে ঢাকার স্বামীবাগে তারাবীহ নামাজে বাধা দিয়েছিলো এবং সংঘর্ষে অনেক মুসলমান আহত হয়। ২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের উপর গুলি বর্ষণ করে। এ সময় ইসকনীদের হামলায় অসংখ্য মুসলমান আহত হয়। ইসকনের বিরোদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় ২০১৬ সালে খুন হয় সিলেটের এক মসজিদের ইমাম।
শুধু তাই নয়, পতিত স্বৈরাচারের আমলে এই হিন্দু সন্ত্রাসী ইসকনিরা আন্দকিল্লায় স্লোগান দিয়েছিলো ‘একটা একটা মোল্লা ধর, ধরে ধরে জবাই কর’। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম নিউ মার্কেট মোড়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবং বায়জিদ বোস্তামী পাহাড়ে ( চন্দ্রনাথ) তারা মুসলমানদের জবাই করার স্লোগান দিয়েছিলো।
চট্টগ্রাম ও রংপুরের এর সমাবেশ এ তারা বাংলাদেশকে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, লেবানন বাননোর হুমকি দিয়েছে।সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতেই হবে
বর্তমান অন্তভর্তী সরকারের নিকট আমাদের দাবী, অবিলম্বে রিপাবলিক বাংলা ও বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারকারী ভারতীয় সমস্ত চ্যানেলকে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনতে হবে।