ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, সেই কুলসুম গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজের জীবিত স্বামী আল আমিন মিয়াকে (২২) মৃত দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী কুলসুম বেগম (২১) ও তার দুই সহযোগী শফিকুর এবং রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের আলেকজাহান এসএম পাড়ার মোস্তাক আহমেদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রাতেই আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার টেপড়া গ্রামের মেছের আলীর ছেলে রুহুল আমীন, একই জেলার  ঘিওর থানার ফুলহারা গ্রামের মৃত মাসুম আলীর ছেলে শফিকুর রহমান ও ঘিওর থানার স্বল্পসিংজুরি বাঙলা এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে কুলসুম বেগম।

মিথ্যা মামলার বাদী কুলসুম বেগম জানান, চার বছরের সন্তানকে নিয়ে স্বামী আল-আমীনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি সিলেটে থাকতেন তিনি। গত ২৮ আগস্ট দাম্পত্য কলহের জেরে সিলেট থেকে সাভারে বোনের কাছে চলে আসেন কুলসুম। আসার পথে গাড়িতে শফিকুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তিনি চাকরির জন্য সাভারে এসেছেন বলে জানান। এই সুযোগে শফিক কুলসুমকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল আমীনের কাছে নিয়ে যান।

এরপর রুহুল আমীন ও শফিকুর চাকরির জন্য জন্ম নিবন্ধন চেয়ে সাভারের সেনা শপিং কমপ্লেক্সে দেখা করেন। এ সময় তারা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আমার স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা প্রস্তুত করেছেন বলে আমাকে জানান। আমি রাজি না হলে তারা নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে আদালতে নিয়ে উকিলের সামনে কাগজে স্বাক্ষর নেন। রুহুল আমীন ও শফিকুর রহমান ব্ল্যাকমেইল করে মামলা করতে বাধ্য করেছেন এবং আমাকে কক্সবাজারে বাসা ভাড়া করে দিয়ে থাকতে বলেন।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান বলেন, কুলসুমের সঙ্গে আমার গাড়িতে পরিচয় হয়। পরে তাকে নিয়ে আমি রুহুল আমীনের কাছে যাই। তিনি মামলার সব কাজ করেছেন।

আশুলিয়া থানার এসআই রকিবুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে বাদীকে উদ্ধার করে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। যে মামলায় আসামি করা হয়েছিল ১৩০ জনকে। অথচ বাদীর স্বামী এখনো বেঁচে আছেন।

আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর বলেন, জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় শফিক, রুহুল আমীন ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিথ্যা মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, সেই কুলসুম গ্রেপ্তার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজের জীবিত স্বামী আল আমিন মিয়াকে (২২) মৃত দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী কুলসুম বেগম (২১) ও তার দুই সহযোগী শফিকুর এবং রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের আলেকজাহান এসএম পাড়ার মোস্তাক আহমেদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রাতেই আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার টেপড়া গ্রামের মেছের আলীর ছেলে রুহুল আমীন, একই জেলার  ঘিওর থানার ফুলহারা গ্রামের মৃত মাসুম আলীর ছেলে শফিকুর রহমান ও ঘিওর থানার স্বল্পসিংজুরি বাঙলা এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে কুলসুম বেগম।

মিথ্যা মামলার বাদী কুলসুম বেগম জানান, চার বছরের সন্তানকে নিয়ে স্বামী আল-আমীনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি সিলেটে থাকতেন তিনি। গত ২৮ আগস্ট দাম্পত্য কলহের জেরে সিলেট থেকে সাভারে বোনের কাছে চলে আসেন কুলসুম। আসার পথে গাড়িতে শফিকুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তিনি চাকরির জন্য সাভারে এসেছেন বলে জানান। এই সুযোগে শফিক কুলসুমকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল আমীনের কাছে নিয়ে যান।

এরপর রুহুল আমীন ও শফিকুর চাকরির জন্য জন্ম নিবন্ধন চেয়ে সাভারের সেনা শপিং কমপ্লেক্সে দেখা করেন। এ সময় তারা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আমার স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা প্রস্তুত করেছেন বলে আমাকে জানান। আমি রাজি না হলে তারা নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে আদালতে নিয়ে উকিলের সামনে কাগজে স্বাক্ষর নেন। রুহুল আমীন ও শফিকুর রহমান ব্ল্যাকমেইল করে মামলা করতে বাধ্য করেছেন এবং আমাকে কক্সবাজারে বাসা ভাড়া করে দিয়ে থাকতে বলেন।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান বলেন, কুলসুমের সঙ্গে আমার গাড়িতে পরিচয় হয়। পরে তাকে নিয়ে আমি রুহুল আমীনের কাছে যাই। তিনি মামলার সব কাজ করেছেন।

আশুলিয়া থানার এসআই রকিবুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে বাদীকে উদ্ধার করে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। যে মামলায় আসামি করা হয়েছিল ১৩০ জনকে। অথচ বাদীর স্বামী এখনো বেঁচে আছেন।

আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর বলেন, জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় শফিক, রুহুল আমীন ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিথ্যা মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে।