ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : রায় যেকোনো দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন (সিএভি)। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত ২৩ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির দফতর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠানো হয়।

এরপর ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টের এ বেঞ্চে মামলার পেপারবুক পাঠের মধ্যে দিয়ে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানির মধ্য দিয়ে আজ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী। ঐ হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন।

রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথরেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।

হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি শুরু করে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি পরিবর্তন হলে আপিল শুনানির বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর নতুন করে আবারো নবগঠিত বেঞ্চে আপিলের শুনানি শুরু হয়

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : রায় যেকোনো দিন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন (সিএভি)। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত ২৩ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির দফতর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠানো হয়।

এরপর ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টের এ বেঞ্চে মামলার পেপারবুক পাঠের মধ্যে দিয়ে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানির মধ্য দিয়ে আজ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী। ঐ হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন।

রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথরেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।

হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি শুরু করে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি পরিবর্তন হলে আপিল শুনানির বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর নতুন করে আবারো নবগঠিত বেঞ্চে আপিলের শুনানি শুরু হয়