ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে দেখা মিলেছে অগ্রাহায়নের শীতের অনুভূতি

সিলেট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট জুড়ে অগ্রাহায়নের শীতের অনুভূতি দেখা মিলেছে। বছরের শেষে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে প্রতিবছর ধীরে-ধীরে শিত পড়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। হেমন্তের অর্ধেক অর্থাৎ কার্তিক গেছে গরমে। তবে অগ্রাহায়নে শীত তাঁর আগমনী জানান দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে সকালবেলায় কুয়াশার  দেখাও মিলছে। উষ্ণতম নগরেও সকালে এখন হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতির এই পরিবর্তন জানান দিচ্ছে শীত জেঁকে বসছে শিঘ্রই। আবহাওয়া অধিদপ্তরও একই বার্তা দিচ্ছে। যদিও রোদ ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে শীতল পরিবেশ বিদায় নেয়, আবার বিকেল হলে অনুভূত হতে থাকে হালকা শীত।


ইতিমধ্যে অগ্রাহায়নের শুরুতেই শীত জেঁকে বসেছে দেশের সীমান্ত জেলা সিলেটে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে প্রকৃতিতে। সোমবার (১৮নভেম্বর ২৪ইং) সকাল ৬ টায় সিলেট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৯ ডিগ্রীতে। ওদিকে, সারাদেশে শীতের অনুভূতি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এদিকে, শীতের আগমনে সিলেটে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলেও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। বেচাকেনাও চলছে। এছাড়াও নগরীর পাইকারি বাজার গুলোও গেল কিছু দিন ধরে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুওে দেখা যায়, নগরীর বন্দর বাজার, কিন ব্রিজের পাশ, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবী বাজার, আম্বরখানা, মেজরটিলা, শাহী ঈদগাহ টিলাগরড় পয়েন্টসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং বিপণি-বিতানের সামনে হকাররা নানা রকমের শীতের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন। অল্প টাকায় সেখানে নানা ধরন ও মানের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। সস্তায় গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত লোকজন সেখানে আসছেন।
এদিকে প্রতি বছর শীতের আগমনকে ঘিরে নগরীতে মৌসুমি হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। ব্যতিক্রম নেই এবারও। নিয়মিত হকারদের পাশাপাশি মৌসুমি হকাররা ইতিমধ্যেই নিজেদের জায়গা নির্ধারণ করে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে দেখা মিলেছে অগ্রাহায়নের শীতের অনুভূতি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সিলেট জুড়ে অগ্রাহায়নের শীতের অনুভূতি দেখা মিলেছে। বছরের শেষে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে প্রতিবছর ধীরে-ধীরে শিত পড়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। হেমন্তের অর্ধেক অর্থাৎ কার্তিক গেছে গরমে। তবে অগ্রাহায়নে শীত তাঁর আগমনী জানান দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে সকালবেলায় কুয়াশার  দেখাও মিলছে। উষ্ণতম নগরেও সকালে এখন হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতির এই পরিবর্তন জানান দিচ্ছে শীত জেঁকে বসছে শিঘ্রই। আবহাওয়া অধিদপ্তরও একই বার্তা দিচ্ছে। যদিও রোদ ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে শীতল পরিবেশ বিদায় নেয়, আবার বিকেল হলে অনুভূত হতে থাকে হালকা শীত।


ইতিমধ্যে অগ্রাহায়নের শুরুতেই শীত জেঁকে বসেছে দেশের সীমান্ত জেলা সিলেটে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে প্রকৃতিতে। সোমবার (১৮নভেম্বর ২৪ইং) সকাল ৬ টায় সিলেট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৯ ডিগ্রীতে। ওদিকে, সারাদেশে শীতের অনুভূতি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এদিকে, শীতের আগমনে সিলেটে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলেও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। বেচাকেনাও চলছে। এছাড়াও নগরীর পাইকারি বাজার গুলোও গেল কিছু দিন ধরে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুওে দেখা যায়, নগরীর বন্দর বাজার, কিন ব্রিজের পাশ, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবী বাজার, আম্বরখানা, মেজরটিলা, শাহী ঈদগাহ টিলাগরড় পয়েন্টসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং বিপণি-বিতানের সামনে হকাররা নানা রকমের শীতের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন। অল্প টাকায় সেখানে নানা ধরন ও মানের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। সস্তায় গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত লোকজন সেখানে আসছেন।
এদিকে প্রতি বছর শীতের আগমনকে ঘিরে নগরীতে মৌসুমি হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। ব্যতিক্রম নেই এবারও। নিয়মিত হকারদের পাশাপাশি মৌসুমি হকাররা ইতিমধ্যেই নিজেদের জায়গা নির্ধারণ করে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন।