সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা গত জুলাইয়ে স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সেই পর্যন্ত যে ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলো, তা বাতিল করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। পিএসসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ তিন ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বিগত ১৮ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিগত ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গত ৮ অক্টোবর তৎকালীন কমিশন পদত্যাগ করে। মৌখিক পরীক্ষায় সমমান বজায় রাখার জন্য পূর্বের কমিশন কর্তৃক গৃহীত ৪৪তম বিসিএস.-২০২১ এর আংশিক অর্থাৎ ৩ হাজার  ৯৩০ জন প্রার্থীর গৃহীত মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থী অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৭ মে ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬০ জন প্রার্থী অংশ নেয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন পাস করে।

জানা গেছে, ৪৪ তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নিয়োগ পাবেন।

ওই সময় যুগ্ম সচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিলো, ৪৬তম বিসিএসের ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরীক্ষার নতুন সূচি জানানো হবে।

গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ হাজার ৬৩৮ জন। উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।

৪৬তম বিসিএসের মোট পদ সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেয়া হবে।