ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাঙামাটিতে আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ’র গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

আহমদ বিলাল হুসাইন
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ও সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ’র রুহের মাগফেরাত কামনা করে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বাদে জুম’আ রাঙামাটি শহরের কোর্ট বিল্ডিং প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় শিবিরের রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাফি বলেন, আবু সাইদ থেকে আব্দুল্লাহ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন বিদেশে বসে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যতদিন না পর্যন্ত এ ফ্যাসিস্টের মূল উৎপাটন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমরা শহীদি তামান্না নিয়ে রাজপথে থাকবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের নব নিযুক্ত সদস্য মো. হাবীব আজম, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এর অন্যতম সৈনিক মো. ইমাম হোসাইন, আব্দুস সাত্তার, নূর আলম সহ সাধারণ ছাত্র- জনতা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবীব আজম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া টার্মিনাল পাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বার ও মা মাবিয়া বেগমের ছেলে। তারা তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছিল সবার ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই আবদুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

হাবীব আজম আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইন্তেকাল করেন। এদিকে আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার বাড়ি বড়আঁচড়াসহ গোটা বেনাপোলে। আজ শুক্রবার তার নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। দীর্ঘ ৩ মাসেরও বেশি সময়ে তারা ছেলের সাথেই হাসপাতালে অবস্থান করলেও ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাঙামাটিতে আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ’র গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ও সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ’র রুহের মাগফেরাত কামনা করে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বাদে জুম’আ রাঙামাটি শহরের কোর্ট বিল্ডিং প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় শিবিরের রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাফি বলেন, আবু সাইদ থেকে আব্দুল্লাহ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন বিদেশে বসে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যতদিন না পর্যন্ত এ ফ্যাসিস্টের মূল উৎপাটন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমরা শহীদি তামান্না নিয়ে রাজপথে থাকবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের নব নিযুক্ত সদস্য মো. হাবীব আজম, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এর অন্যতম সৈনিক মো. ইমাম হোসাইন, আব্দুস সাত্তার, নূর আলম সহ সাধারণ ছাত্র- জনতা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবীব আজম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া টার্মিনাল পাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বার ও মা মাবিয়া বেগমের ছেলে। তারা তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছিল সবার ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই আবদুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

হাবীব আজম আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইন্তেকাল করেন। এদিকে আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার বাড়ি বড়আঁচড়াসহ গোটা বেনাপোলে। আজ শুক্রবার তার নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। দীর্ঘ ৩ মাসেরও বেশি সময়ে তারা ছেলের সাথেই হাসপাতালে অবস্থান করলেও ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি।