রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আহমদ বিলাল খান, রাঙামাটি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের বনরূপায় একটি রেষ্টুরেন্ট এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও কেক কাটা হয়।

আলোচনা সভা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক পারভেজ মোশারফ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অর্থ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম, পিসিএনপি নেতা ওয়াহাব পাটোয়ারী, পিসিএনপি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, আরো বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কলেজ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, পৌর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চল অনগ্রসর অঞ্চল, পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেক হয়েও তা পাচ্ছেন না বাঙালিরা।

শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান।

মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সকল উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ১৯৮৪ সাল থেকে। পার্বত্যচুক্তি স্বাক্ষরের পর কোটার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২৫ জন উপজাতি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে কোটাতেই। নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এর সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে, একই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বাঙালিদের জন্য কোটা তো দূরে থাক তেমন কোনো সুযোগ এখনো তৈরি করা হয়নি। পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী দু’টি জনগোষ্ঠীর জন্য দুই রকম নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপান করে নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের বনরূপায় একটি রেষ্টুরেন্ট এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ও কেক কাটা হয়।

আলোচনা সভা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক পারভেজ মোশারফ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অর্থ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম, পিসিএনপি নেতা ওয়াহাব পাটোয়ারী, পিসিএনপি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, আরো বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কলেজ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, পৌর সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চল অনগ্রসর অঞ্চল, পার্বত্য এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেক হয়েও তা পাচ্ছেন না বাঙালিরা।

শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান।

মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সকল উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ১৯৮৪ সাল থেকে। পার্বত্যচুক্তি স্বাক্ষরের পর কোটার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২৫ জন উপজাতি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে কোটাতেই। নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এর সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে, একই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বাঙালিদের জন্য কোটা তো দূরে থাক তেমন কোনো সুযোগ এখনো তৈরি করা হয়নি। পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী দু’টি জনগোষ্ঠীর জন্য দুই রকম নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপান করে নেতাকর্মীরা।