সাদপন্থীদের দখলে ‌‌‌‌‌‌কাকরাইল মসজিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরমধ্যে সাদপন্থিরা কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টার পরে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। লাখ লাখ লোকের জমায়েত হয় এ সময়।

তাবলিগ জামাতের বিবদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে জুবায়েরপন্থীরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থীরা ২ সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যদিও বিগত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিল সাদপন্থীরা।

গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় আয়োজিত হবে। প্রথম দফার ইজতেমা শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি এবং চলবে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি।

তবে ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে জুবায়েরপন্থীদের সমর্থক ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের সম্মেলন থেকে বলা হয়- দেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়। জুবায়েরপন্থীরা টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে ১৫ নভেম্বর থেকে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এরপর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা কেন্দ্রিক সাদপন্থীদের কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে রাজধানী ঢাকা অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

তারপর বুধবার (১৩ নভেম্বর) পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থীরা জানান, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থীরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। আলেম-ওলামারা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।

এরপর বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘কাকরাইল মসজিদ ও তাবলিগ বিষয়ে জরুরি বিবৃতি’তে জানানো হয়, মঙ্গলবার বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের নেতাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যৌথভাবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাদপন্থীদের দখলে ‌‌‌‌‌‌কাকরাইল মসজিদ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরমধ্যে সাদপন্থিরা কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টার পরে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। লাখ লাখ লোকের জমায়েত হয় এ সময়।

তাবলিগ জামাতের বিবদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে জুবায়েরপন্থীরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থীরা ২ সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যদিও বিগত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিল সাদপন্থীরা।

গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় আয়োজিত হবে। প্রথম দফার ইজতেমা শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি এবং চলবে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি।

তবে ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে জুবায়েরপন্থীদের সমর্থক ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের সম্মেলন থেকে বলা হয়- দেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়। জুবায়েরপন্থীরা টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে ১৫ নভেম্বর থেকে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এরপর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা কেন্দ্রিক সাদপন্থীদের কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে রাজধানী ঢাকা অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

তারপর বুধবার (১৩ নভেম্বর) পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থীরা জানান, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থীরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। আলেম-ওলামারা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।

এরপর বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘কাকরাইল মসজিদ ও তাবলিগ বিষয়ে জরুরি বিবৃতি’তে জানানো হয়, মঙ্গলবার বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের নেতাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যৌথভাবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।