ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৮ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসককে আজীবন বহিষ্কার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৮ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসককে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ১১ শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিতসহ ৪ জনকে হোস্টেলে প্রবেশে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে ৫ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান, ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনুমতি পেয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আজীবন কলেজ ক্যাম্পাস, হোস্টেলে প্রবেশ, অবস্থান ও সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কৃতরা হলো- ডা. অনুপম সাহা (ম-৫২), ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান (ম-৫৩), ডা. মাশফিক আনোয়ার (ম-৫২), অনুপম দত্ত অর্ঘ্য (ম-৫৩), ডা. সানজিব সরকার বোনাস (বিডিএস-৫), ডা. সাইফুল ইসলাম (বিডিএস-৫), ডা. মাহিদুল হক অয়ন (ম-৫৪) ও ডা. জাহিদুল ইসলাম তুষার (ম-৫৫)। তাদের মধ্যে ডা. অনুপম সাহা নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান সাধারণ সম্পাদক।
দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম যাদের স্থগিত হয়েছে তারা হলো- রাকিবুল হাসান রুকন (ম-৫৭), মেহেদী হাসান শিমুল (ম-৫৩), মেরাজ হোসেন বাঁধন (বিডিএস-১০) ও রাইয়ান হাবিব ফাগুন (ম-৫৮)। এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে অর্ণব সাহার (ম-৫৮) এবং ছয় মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম যাদের স্থগিত হয়েছে তারা হলেন- সানজিদ আহমেদ (বিডিএস-৭), শাহরিয়ার ইফতেখার সৌমিক (বিডিএস-৮), মুনতাসির রাতুল (বিডিএস-৭), শামস আরেফিন (ম-৬৮) ও আসিফ ইকবালের (বিডিএস-১০)।
হোস্টেলে প্রবেশে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো- আশিক মাহমুদ রিয়াদ (বিডিএস-৮), মঞ্জুরুল হক রাজিব (ম-৫৭), আশিক উদ্দিন (ম-৫৭) ও কুবের চক্রবর্তী (ম-৫৯)।
নিজের ও অভিভাবকের মুচলেকা সাপেক্ষে ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান, ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনুমতি পেয়েছেন- শিপন হাসান (ম-৫৭), সৈয়দ রায়হান আল আশরাফ মাহিন (ম-৫৭), আসিফ রায়হান (ম-৫৮), দিগন্ত সরকার (ম-৫৯) ও সিয়াম জাওয়াদ পুষন (ম-৫৯)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও একাডেমি কাউন্সিলের সভাপতি নাজমুল আলম খান বলেন, দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। উপাধ্যক্ষ ডা. জিম্মা হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. বদর উদ্দিনকে সদস্যসচিব করে নয় সদস্যের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।