ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বললেন বিএনপি নেতা মিনু

আওয়ামী লীগের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না

সোহরাব হোসেন সৌরভ, রাজশাহী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: NightHDR; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 87.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, জতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জনগণের দল । এই দল কখনো জনগণের সাথে প্রতারণা বা বেইমানী করে না। অতিতে ক্ষমতায় থাকতের জনগণের সেবা করে গেছে। এরপর দীর্ঘ পনের বছরে ক্ষমতার বাহিরে থাকলেও জনগণের পাশে ছিলো বিএনপি। যার প্রমান এই র‌্যালি। র‌্যালি হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ উপস্থিত হয়ছে। এই র‌্যালি সমাবেশে রাস্তা এবং সমাবেশস্থলে পা রাখার জায়গা ছিলো না। শত বাধা, নির্যাতন, খুন, গুম, জেল জরিমানা, ও মিথ্যা মামলা জর্জিত হয়ে কেউ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন ছেড়ে চলে যায়নি।

রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদি মুক্তিযোদ্ধা দল জেলা ও মহানগনের আয়োজনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নগরীর বাটার মোড়ে র‌্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, গণতন্ত্রের পুরোধা ও বাঙলাদশের উন্নয়নের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি দেশের হাল ধরেছিলেন বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে ধাপিত হয়েছিলো এবং বহু দেশের নিকট স্বীকৃতি পেয়েছিলো। তিনি বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে খুনি হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পেরেছিলেন। অথচ ঐ হাসিনাই ষড়যন্ত্র করে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিলো। এ কথা বাংলাদেশের সকল মানুষ জানেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাজশাহী যেমন বিএনপি’র ঘাটি ছিলো, এখনো আছে। অথচ এই বিএনপিকে একটি মোহল প্রায় শেষ করে ফেলেছে। প্রকৃত পক্ষে তারা জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে পারেনি। আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁত করে তারা এতদিন থেকেছে। এর মুল প্রমান হচ্ছে বিগত দিনে সরকার পতনের আন্দোলনে তাঁদের তেমন কোন ভূমিকা ছিলোনা। অথচ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এই খুনি স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে বাঁচতে অনেক চেষ্টা করেছে। তিনি আরো বলেন, গত জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই খুনি হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র – জনতা আন্দোলন করে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। সুদুর লন্ডন থেকে এই আন্দোলনে অনেক পরামর্শ প্রদান করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মিনু আরো বলেন, খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তিনি দ্রুত সময়ে জাথয়ি সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান। সেইসাথে খুনি হাসিনা তথা আওয়ামী বাকশালীদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। বক্তব্য শেষে বাটার মাড় থেকে বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি নিয়ে সোনাদিঘির মোড় হয়ে নগরীর প্রধান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলুপট্টির মোড়ে গিয়ে শেষ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বেলা ৩টা থেকে নগরী ও জেলা থেকে শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা দল রাজশাহী কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ, সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ, জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মকবুল হোসেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন।

যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আবউল কাদেও বকুল, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, স্বে”ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মিুন পত্নি সালমা শাহাদাত, এডভোকেট সিফাত জেরিন তুলি সহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বললেন বিএনপি নেতা মিনু

আওয়ামী লীগের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, জতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জনগণের দল । এই দল কখনো জনগণের সাথে প্রতারণা বা বেইমানী করে না। অতিতে ক্ষমতায় থাকতের জনগণের সেবা করে গেছে। এরপর দীর্ঘ পনের বছরে ক্ষমতার বাহিরে থাকলেও জনগণের পাশে ছিলো বিএনপি। যার প্রমান এই র‌্যালি। র‌্যালি হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ উপস্থিত হয়ছে। এই র‌্যালি সমাবেশে রাস্তা এবং সমাবেশস্থলে পা রাখার জায়গা ছিলো না। শত বাধা, নির্যাতন, খুন, গুম, জেল জরিমানা, ও মিথ্যা মামলা জর্জিত হয়ে কেউ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন ছেড়ে চলে যায়নি।

রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদি মুক্তিযোদ্ধা দল জেলা ও মহানগনের আয়োজনে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নগরীর বাটার মোড়ে র‌্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, গণতন্ত্রের পুরোধা ও বাঙলাদশের উন্নয়নের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি দেশের হাল ধরেছিলেন বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে ধাপিত হয়েছিলো এবং বহু দেশের নিকট স্বীকৃতি পেয়েছিলো। তিনি বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে খুনি হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পেরেছিলেন। অথচ ঐ হাসিনাই ষড়যন্ত্র করে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিলো। এ কথা বাংলাদেশের সকল মানুষ জানেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাজশাহী যেমন বিএনপি’র ঘাটি ছিলো, এখনো আছে। অথচ এই বিএনপিকে একটি মোহল প্রায় শেষ করে ফেলেছে। প্রকৃত পক্ষে তারা জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে পারেনি। আওয়ামীলীগের সাথে আতাঁত করে তারা এতদিন থেকেছে। এর মুল প্রমান হচ্ছে বিগত দিনে সরকার পতনের আন্দোলনে তাঁদের তেমন কোন ভূমিকা ছিলোনা। অথচ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এই খুনি স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে বাঁচতে অনেক চেষ্টা করেছে। তিনি আরো বলেন, গত জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই খুনি হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র – জনতা আন্দোলন করে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। সুদুর লন্ডন থেকে এই আন্দোলনে অনেক পরামর্শ প্রদান করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মিনু আরো বলেন, খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তিনি দ্রুত সময়ে জাথয়ি সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান। সেইসাথে খুনি হাসিনা তথা আওয়ামী বাকশালীদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। বক্তব্য শেষে বাটার মাড় থেকে বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি নিয়ে সোনাদিঘির মোড় হয়ে নগরীর প্রধান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলুপট্টির মোড়ে গিয়ে শেষ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বেলা ৩টা থেকে নগরী ও জেলা থেকে শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা দল রাজশাহী কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ, সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ, জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শেখ মকবুল হোসেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন।

যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আবউল কাদেও বকুল, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, স্বে”ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মিুন পত্নি সালমা শাহাদাত, এডভোকেট সিফাত জেরিন তুলি সহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।