ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের পরামর্শে নেওয়া প্রকল্প অনুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের দুঃখ ভবদহের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম আমডাঙা খাল পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের  উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার আমডাঙা খাল এলাকা পরিদর্শন ও জনগণের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় তিনি দূর্ভোগ অঞ্চলের মানুষের সাথে কথা বলেন এবং তাদের ভোগান্তির কথা শোনেন। 

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার কাজ করা হবে। আমডাঙা খাল প্রশস্ত ও যেসব নদী দিয়ে পানি নামবে- সেইসব নদীর সংস্কারের দাবি হচ্ছে এখানকার মানুষের প্রধান চাওয়া। ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আমরা সে পথেই হাঁটবো। পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা অন্য কোনও সংস্থা এবার নিজেদের মতামত আরোপ করবে না। জনগণের মতামত নিয়েই তারা পরিকল্পনা করেছে এবং সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে। 

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের ঋণ স্থগিতসহ বেশ কিছু সাহায্যের প্রয়োজন; সে বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে চিঠি করেছি এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

তিনি বলেন, ভবদহ নিয়ে অনেক প্রকল্প হয়েছে। কিন্তু সমস্যা কেন বারবার ফিরে আসে -সেটা বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২০০৫ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে সমস্যাগুলো কারিগরি দিক থেকে অনেক জটিল হয়েছে, সেটাও আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হবে । ওই কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন যে কার্যক্রম, তা স্বচ্ছতার সাথে করার জন্য স্থানীয় ভুক্তভোগী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভবদহ এলাকার অবৈধ ঘের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেটা অবৈধ সেটা অবৈধই। খাল এবং বিল অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে যশোরের জেলা প্রশাসক মহোদয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ১০ লাখ মানুষের জীবিকাকে জিম্মি করে আমরা ১৬ হাজার ঘের রক্ষা করতে পারি না। ফলে তাদের জন্য স্পষ্ট বার্তা হল- তাদের অবৈধ ঘের সরাতে হবে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাছ চাষ করতে হবে।

রবিবার দুপুরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার জলমগ্ন সুন্দলি এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমডাঙা খাল এলাকা পরিদর্শন ও শুনানিকালে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেন, ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য আমডাঙা খাল ১০০ মিটার প্রশস্ত করে ছয়টি ভেন্টের জায়গায় ২০ টি করতে হবে। সে লক্ষ্যে জায়গা অধিগ্রহণ করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইতোপূর্বে স্থানীয় সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বিভিন্ন সময় এখানে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেছেন। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জনগণের পরামর্শে নেওয়া প্রকল্প অনুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

যশোরের দুঃখ ভবদহের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম আমডাঙা খাল পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের  উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার আমডাঙা খাল এলাকা পরিদর্শন ও জনগণের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় তিনি দূর্ভোগ অঞ্চলের মানুষের সাথে কথা বলেন এবং তাদের ভোগান্তির কথা শোনেন। 

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার কাজ করা হবে। আমডাঙা খাল প্রশস্ত ও যেসব নদী দিয়ে পানি নামবে- সেইসব নদীর সংস্কারের দাবি হচ্ছে এখানকার মানুষের প্রধান চাওয়া। ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আমরা সে পথেই হাঁটবো। পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা অন্য কোনও সংস্থা এবার নিজেদের মতামত আরোপ করবে না। জনগণের মতামত নিয়েই তারা পরিকল্পনা করেছে এবং সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে। 

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের ঋণ স্থগিতসহ বেশ কিছু সাহায্যের প্রয়োজন; সে বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে চিঠি করেছি এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

তিনি বলেন, ভবদহ নিয়ে অনেক প্রকল্প হয়েছে। কিন্তু সমস্যা কেন বারবার ফিরে আসে -সেটা বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২০০৫ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে সমস্যাগুলো কারিগরি দিক থেকে অনেক জটিল হয়েছে, সেটাও আমাদের মাথায় রেখে কাজ করতে হবে । ওই কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি নতুন যে কার্যক্রম, তা স্বচ্ছতার সাথে করার জন্য স্থানীয় ভুক্তভোগী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভবদহ এলাকার অবৈধ ঘের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেটা অবৈধ সেটা অবৈধই। খাল এবং বিল অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে যশোরের জেলা প্রশাসক মহোদয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ১০ লাখ মানুষের জীবিকাকে জিম্মি করে আমরা ১৬ হাজার ঘের রক্ষা করতে পারি না। ফলে তাদের জন্য স্পষ্ট বার্তা হল- তাদের অবৈধ ঘের সরাতে হবে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাছ চাষ করতে হবে।

রবিবার দুপুরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার জলমগ্ন সুন্দলি এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমডাঙা খাল এলাকা পরিদর্শন ও শুনানিকালে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেন, ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য আমডাঙা খাল ১০০ মিটার প্রশস্ত করে ছয়টি ভেন্টের জায়গায় ২০ টি করতে হবে। সে লক্ষ্যে জায়গা অধিগ্রহণ করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইতোপূর্বে স্থানীয় সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বিভিন্ন সময় এখানে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেছেন। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তিনি।