ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আগাম চাষে উৎপাদন বাড়ছে, কমছে না দাম

রাজশাহী ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী অঞ্চলে সবজির আগাম চাষে কৃষকরা লাভবান হলেও বাজারে কমছে না সবজির দাম। বাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে কোন সবজির কিছুটা দাম কমলেও অন্য সবজির দাম হঠাৎ মুল্য বিদ্ধি পাচ্ছে । যেমন কাচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও পেয়াজের দাম বিদ্ধি যেয়েছে।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকেরা গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা।পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।

রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মণ। জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদার তুলনায় তিন থেকে চার লাখ মেট্রিক টন কম উৎপাদন হয়।

তানোর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় খরিপ মৌসুমে দুই ধাপে মোট ৭০০ জন কৃষককে পেঁয়াজ বীজ ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়। উপজেলায় প্রায় ৯২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ ও প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৬৫ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জমিতে চাষ, সার প্রয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকদের ২ হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণের পর অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যায় কৃষি বিভাগ। এতে আলোর মুখ দেখতে শুরু করে প্রকল্পটি।

কৃষি বিভাগ জানায়, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত

শীতের সবজির মধ্যে শিম শীতকালীন সবজি হিসেবে চাহিদাও ব্যাপক। এ অঞ্চলের মাটি সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় আগাম জাতের শিম চাষ করেন কৃষকরা। আগাম জাতের শিম চাষে ফলনও দ্বিগুণ। মৌসুমের আগে বাজারে শিম আসায় ক্রেতাদের কদরও বেশি হয়। আবার আগাম শিম চাষে ফলন ও দাম দুটোই তারা ভালো পাচ্ছেন। এতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতে শিমের বাজার মূল্য বেশি থাকায় শিমচাষিদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসনিম বলেন, উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। শিম শীতকালীন সবজি হলেও বারোমাস চাষ করা যায়। বর্তমানে আগাম হাইব্রিড শিম চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। আগাম জাতের শিম চাষে কৃষকেরা দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

এদিকে, রাজশাহী অঞ্চলে আগাম চাষে উৎপাদন বাড়লেও গ্রাম থেকে শহর হাট বাজার গুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। এসব পন্য বিক্রিতে সরকারের নির্ধারিত মূল কেউ মানছেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয় ও সীমিত আয়ের লোকজন। তারা পাইকারি ও খুরচা বাজারে অতি প্রয়োজনীয় এসব পন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে এখনই বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় বলতে আলু পেঁয়াজ ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও তা মানছেন না কোন ব্যবসায়ী।

পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা জানান, ষ্টোর গেট থেকে প্রতি কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এর সাথে পরিবহন খরচ ও পচন বাদ দিয়ে খুরচা ব্যবসায়ীদের কাছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাগমারা উপজেলার সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরের ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল জানান, গত বছর আবহাওয়া ও রোগবালাই জনিত কারণে আলুর আশানুরূপ ফলন হয়নি। বাগমারায় তাদের স্টোর সহ অন্যান্য স্টোরে যে পরিমান আলু সংরক্ষিত আছে তা নতুন আলু উত্তোলন পর্যন্ত থাকবে না। ফলে আলুর দাম আবারও কিছু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ সহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় সবখানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা ও বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।

ভবানীগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, বেশি দামে কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শীতের আগাম সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিকেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। ছাড়াও শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি।

রাজশাহী মহানগরীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত শীতে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি সবজি পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে শীত আসন্ন হলেও বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। এখন সবধরনের সবজির দাম আস্তে আস্তে কমে যাবে। এক সপ্তার ব্যবধানে কয়েকটি সবজিতে প্রতি কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, শিমের কেজি ১২০ টাকা, বেগুনের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলুর কেজি ৬০ টাকা। তাহলে কোন সবজির দাম কম। এই সময়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজির মধ্যে থাকলে সাধারণ ক্রেতারা বলেন- দাম কমেছে। নতুবা সবজির দাম বেশি বলা চলে।

নগরীর বিনোদপুর বাজারের বিক্রেতা শাহিন আলীর দোকানে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ১২০ টাকা কেজি, কচু প্রতিকেজি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর বিনোদপুর বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ।

প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

তবে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আগাম চাষে উৎপাদন বাড়ছে, কমছে না দাম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহী অঞ্চলে সবজির আগাম চাষে কৃষকরা লাভবান হলেও বাজারে কমছে না সবজির দাম। বাজারে গিয়ে দেখা যাচ্ছে কোন সবজির কিছুটা দাম কমলেও অন্য সবজির দাম হঠাৎ মুল্য বিদ্ধি পাচ্ছে । যেমন কাচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও পেয়াজের দাম বিদ্ধি যেয়েছে।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকেরা গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা।পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।

রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মণ। জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদার তুলনায় তিন থেকে চার লাখ মেট্রিক টন কম উৎপাদন হয়।

তানোর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় খরিপ মৌসুমে দুই ধাপে মোট ৭০০ জন কৃষককে পেঁয়াজ বীজ ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়। উপজেলায় প্রায় ৯২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ ও প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৬৫ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জমিতে চাষ, সার প্রয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকদের ২ হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণের পর অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যায় কৃষি বিভাগ। এতে আলোর মুখ দেখতে শুরু করে প্রকল্পটি।

কৃষি বিভাগ জানায়, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত

শীতের সবজির মধ্যে শিম শীতকালীন সবজি হিসেবে চাহিদাও ব্যাপক। এ অঞ্চলের মাটি সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় আগাম জাতের শিম চাষ করেন কৃষকরা। আগাম জাতের শিম চাষে ফলনও দ্বিগুণ। মৌসুমের আগে বাজারে শিম আসায় ক্রেতাদের কদরও বেশি হয়। আবার আগাম শিম চাষে ফলন ও দাম দুটোই তারা ভালো পাচ্ছেন। এতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতে শিমের বাজার মূল্য বেশি থাকায় শিমচাষিদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসনিম বলেন, উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। শিম শীতকালীন সবজি হলেও বারোমাস চাষ করা যায়। বর্তমানে আগাম হাইব্রিড শিম চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। আগাম জাতের শিম চাষে কৃষকেরা দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

এদিকে, রাজশাহী অঞ্চলে আগাম চাষে উৎপাদন বাড়লেও গ্রাম থেকে শহর হাট বাজার গুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। এসব পন্য বিক্রিতে সরকারের নির্ধারিত মূল কেউ মানছেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয় ও সীমিত আয়ের লোকজন। তারা পাইকারি ও খুরচা বাজারে অতি প্রয়োজনীয় এসব পন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে এখনই বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় বলতে আলু পেঁয়াজ ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও তা মানছেন না কোন ব্যবসায়ী।

পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা জানান, ষ্টোর গেট থেকে প্রতি কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এর সাথে পরিবহন খরচ ও পচন বাদ দিয়ে খুরচা ব্যবসায়ীদের কাছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাগমারা উপজেলার সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরের ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল জানান, গত বছর আবহাওয়া ও রোগবালাই জনিত কারণে আলুর আশানুরূপ ফলন হয়নি। বাগমারায় তাদের স্টোর সহ অন্যান্য স্টোরে যে পরিমান আলু সংরক্ষিত আছে তা নতুন আলু উত্তোলন পর্যন্ত থাকবে না। ফলে আলুর দাম আবারও কিছু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ সহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় সবখানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা ও বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।

ভবানীগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, বেশি দামে কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শীতের আগাম সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিকেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। ছাড়াও শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি।

রাজশাহী মহানগরীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত শীতে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি সবজি পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে শীত আসন্ন হলেও বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। এখন সবধরনের সবজির দাম আস্তে আস্তে কমে যাবে। এক সপ্তার ব্যবধানে কয়েকটি সবজিতে প্রতি কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, শিমের কেজি ১২০ টাকা, বেগুনের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলুর কেজি ৬০ টাকা। তাহলে কোন সবজির দাম কম। এই সময়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজির মধ্যে থাকলে সাধারণ ক্রেতারা বলেন- দাম কমেছে। নতুবা সবজির দাম বেশি বলা চলে।

নগরীর বিনোদপুর বাজারের বিক্রেতা শাহিন আলীর দোকানে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৩৫ টাকা, লাল শাকের আটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ১২০ টাকা কেজি, কচু প্রতিকেজি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর বিনোদপুর বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ।

প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

তবে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।