ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার বন্ধ হলো মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কয়লা সংকটের ফলে এবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিটের। অনিয়ম-দুর্নীতি ও মামলার বেড়াজালে পড়ে বেহাল দশা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা ঋণনির্ভর এই মেগা প্রকল্পটির।

পুরোপুরি আমদানি নির্ভর এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে আবার উৎপাদনে আসতে পারবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে বিদেশ থেকে কয়লা এলে নিরসন হবে অচলাবস্থার।

চুক্তি অনুযায়ী, সুমিতমো করপোরেশন কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয় গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে। মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই ও অপর ইউনিট ডিসেম্বরে চালু হয়। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয় ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে কয়লা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়লা আমদানি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এর আগে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আদানিকে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি। আদানির বকেয়া বিল রয়েছে ৮৮৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা)। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের একটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ৭০০ ইউনিটের একটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে দেশে লোডশেডিং বেড়ে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এবার বন্ধ হলো মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

কয়লা সংকটের ফলে এবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিটের। অনিয়ম-দুর্নীতি ও মামলার বেড়াজালে পড়ে বেহাল দশা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা ঋণনির্ভর এই মেগা প্রকল্পটির।

পুরোপুরি আমদানি নির্ভর এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে আবার উৎপাদনে আসতে পারবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে বিদেশ থেকে কয়লা এলে নিরসন হবে অচলাবস্থার।

চুক্তি অনুযায়ী, সুমিতমো করপোরেশন কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয় গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে। মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই ও অপর ইউনিট ডিসেম্বরে চালু হয়। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয় ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে কয়লা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়লা আমদানি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এর আগে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আদানিকে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি। আদানির বকেয়া বিল রয়েছে ৮৮৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা)। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের একটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ৭০০ ইউনিটের একটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে দেশে লোডশেডিং বেড়ে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।