ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক উপজেলায় ২০ ইটভাটা, বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি ইটভাটা। যার বেশির ভাগ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঁচা কাঠ। এসব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানবব্ধন করেছে এলাকাবাসী।  

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকারকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটা গুলোতে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্য। দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিরূপায় হয়ে এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারক লিপি দিয়েছে স্থানীয়রা।  

বক্তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য যে ট্রাক্টর,পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়, যার কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কালেভদ্রে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান হলেও প্রতিটি ভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক বাংলা চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে বাংলা চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে ও ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ’সহ মানুষজন। আগামি ৭দিনের মধ্যে  ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী’সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এক উপজেলায় ২০ ইটভাটা, বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি ইটভাটা। যার বেশির ভাগ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঁচা কাঠ। এসব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানবব্ধন করেছে এলাকাবাসী।  

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকারকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটা গুলোতে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্য। দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিরূপায় হয়ে এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারক লিপি দিয়েছে স্থানীয়রা।  

বক্তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য যে ট্রাক্টর,পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়, যার কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কালেভদ্রে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান হলেও প্রতিটি ভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক বাংলা চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে বাংলা চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে ও ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ’সহ মানুষজন। আগামি ৭দিনের মধ্যে  ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী’সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।