বাউফল পৌরসভার দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কমিশন বাণিজ্য, দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের স্থলে কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টি করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলামে বাউফল পৌরসভাতেই রয়েছেন প্রায় দেড় যুগ। সাবেক পৌর মেয়র ও কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজসে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তার নামে বেনামে অঢেল সম্পত্তি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একে একে বের হচ্ছে লাগামহীণ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র। এসব অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বাউফল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলামে।
অতিরিক্তি অর্থ গ্রহণপূর্বক পৌর এলাকার বাসিন্দাদের নতুন ভবন নির্মাণকাজের অনুমোদন প্রদান, বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পৌরসভার ধার্যকৃত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের বিল আটকে দিয়ে কমিশন গ্রহণসহ ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা করা এবং পৌর এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন চলমান কাজে কৌশলে বাধা প্রয়োগ করে অর্থ আদায়, উৎকোচপ্রাপ্তিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ নির্মাণাধীন কাজের সিডিউল মোতাবেক কাজ বুঝে না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে, বাউফল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে। বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে বাউফল পৌরসভা বাসিকে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ গেজেট অনুযায়ী বলা রয়েছে, পৌরসভার ভবন মালিকদের প্লান প্রনয়নের সাথে পৌরসভার কর্মকর্তারা কোন অবস্থাতেই জড়িত থাকতে পারবে না এবং প্লান অনুমোদনের সময় কমিটি গঠন করে প্লান পাশ করতে হবে। কিন্তু ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলাম ভবন মালিকদের বলে থাকেন বাইরের কোন প্লান পৌরসভায় অনুমোদন করা হবে না। ভবন মালিকদের একই প্লান ছোট বড় করে সবাইকে ভুল প্লান দিয়ে থাকেন যেটা পৌরসভার নিয়ম এর বাইরে। এছাড়া ভবন মালিকদের কাছ থেকে অনেক টাকা -পয়সা নিয়ে থাকেন। ভবন মালিকরা পুন:রায় অন্য কনস্ট্রাকশন অফিস থেকে নতুন করে প্লান ডিজাইন করে থাকেন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকেন। ভবন মালিকরা তাদের কনস্ট্রাকশন কাজে বিঘ্ন হতে পারে বলে অভিযোগ না দিয়ে ভয়ে নিশ্চুপ থাকেন। ফলে পৌরসভার লোকজন খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ, অনেক ভবন নির্মাণ হয়ে গেলেও আতিকুল ইসলাম প্লান পাশ’র টাকা নিয়েও প্লান দিচ্ছেন না এমনটাও হচ্ছে ভবন মালিকদের সাথে। মুঃ আতিকুল ইসলাম ২০০১ সাল থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসাবে অনেক বৎসর বাউফল পৌরসভায় চাকুরী করেছিলেন এবং ২০০৯ সাল তেকে এখন পর্যন্ত একই পৌরসভায় চাকুরীরত অবস্থায় বেআইনীভাবে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন। তার ক্ষমতার দাপট এতটাই যে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বিদেশও সফর করেন।
সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলামের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগীয় কার্যালয় বরিশাল এবং প্রশাসক বাউফল পৌরসভায় লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মুঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার সবকিছু দেখভাল করেন মেয়ররা। আমরা তাদের কথামতে সবকিছু পরিচালনা করে থাকি।