ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

৯ মাসে সড়কে ঝরল ৭২৯ শিশুর প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বছরের ৯ মাসে সারা দেশে ৫৪৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৮ জন। আর আহত ৯ হাজার ৬০১ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭৭ জন ও শিশু ৭২৯ জন।

একই সময়ে ২ হাজার ৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এক হাজার ৯২৪ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭.২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১২১ জন পথচারী নিহত হয়েছে। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছে ৬৮৮ জন।

একই সময়ে ৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১২৪ জন। আহত হয়েছে ১২৫ জন। এছাড়া ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২৪৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২৭ জন নিহত ও ২২৩ জন আহত হয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র: দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৯২৪ জন, বাস যাত্রী ২৯৩ জন, পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ইত্যাদি) ৪২০ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ২৯৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১০৯৭ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭৮ জন এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১৭০ জন নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৪৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ২১৩৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭১টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৭০টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬১ টি সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন: দুর্ঘটনাসমূহের ১২০৪টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৬৯ টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৪৮টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৬৪৯টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৫টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন: দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ড্রামট্রাক ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি তেলবাহী ট্যাংকার-বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক-সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৩.১৪ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১০.২৫ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৪.৭৬ শতাংশ, মোটরবাইক ২০.৭৫ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১৬.৪৯ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম) ৫.৯১ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.২০ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১৬.৪৬ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা: দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১০,৬৭৯টি। বাস ১০৯৫, পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রলি-লরি-ট্রাক্টর-ড্রামট্রাক-সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৪৭২, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৫০৯, মোটরসাইকেল ২২১৬, থ্রি-হুইলার ১৭৬১ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৩২ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম ইত্যাদি), বাইসাইকেল রিকশা ২৩৬ এবং অজ্ঞাত গাড়ি ১৭৫৮টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ: সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৩১০টি (৫.৬৫%), সকালে ১৪৬৫টি (২৬.৭০%), দুপুরে ১১০২টি (২০.০৯%), বিকালে ৮৬৫টি (১৫.৭৭%), সন্ধ্যায় ৫২৪টি (৯.৫৫%) এবং রাতে ১২১৯টি (২২.২২%)।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান: দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২১.৩৬%, প্রাণহানি ২৪.৩৬%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৮৭%, প্রাণহানি ১৩.৮৪%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.১০%, প্রাণহানি ২০.৪৮%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩.২৭%, প্রাণহানি ১২.৬৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৫%, প্রাণহানি ৬.১০%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৮১%, প্রাণহানি ৫.৩৪%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০.৯৩%, প্রাণহানি ১০.০৭% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.১৬%, প্রাণহানি ৭.০৭% ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৭২টি দুর্ঘটনায় ১৩৬৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১৯টি দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৯ মাসে সড়কে ঝরল ৭২৯ শিশুর প্রাণ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

চলতি বছরের ৯ মাসে সারা দেশে ৫৪৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৮ জন। আর আহত ৯ হাজার ৬০১ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭৭ জন ও শিশু ৭২৯ জন।

একই সময়ে ২ হাজার ৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এক হাজার ৯২৪ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭.২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১২১ জন পথচারী নিহত হয়েছে। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছে ৬৮৮ জন।

একই সময়ে ৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১২৪ জন। আহত হয়েছে ১২৫ জন। এছাড়া ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২৪৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২৭ জন নিহত ও ২২৩ জন আহত হয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র: দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৯২৪ জন, বাস যাত্রী ২৯৩ জন, পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ইত্যাদি) ৪২০ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ২৯৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১০৯৭ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭৮ জন এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১৭০ জন নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৪৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ২১৩৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭১টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৭০টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬১ টি সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন: দুর্ঘটনাসমূহের ১২০৪টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৬৯ টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৪৮টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৬৪৯টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৫টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন: দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ড্রামট্রাক ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি তেলবাহী ট্যাংকার-বিদ্যুতের খুঁটিবাহী ট্রাক-সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৩.১৪ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১০.২৫ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৪.৭৬ শতাংশ, মোটরবাইক ২০.৭৫ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১৬.৪৯ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-করিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম) ৫.৯১ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.২০ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১৬.৪৬ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা: দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১০,৬৭৯টি। বাস ১০৯৫, পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রলি-লরি-ট্রাক্টর-ড্রামট্রাক-সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৪৭২, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৫০৯, মোটরসাইকেল ২২১৬, থ্রি-হুইলার ১৭৬১ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৩২ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম ইত্যাদি), বাইসাইকেল রিকশা ২৩৬ এবং অজ্ঞাত গাড়ি ১৭৫৮টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ: সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৩১০টি (৫.৬৫%), সকালে ১৪৬৫টি (২৬.৭০%), দুপুরে ১১০২টি (২০.০৯%), বিকালে ৮৬৫টি (১৫.৭৭%), সন্ধ্যায় ৫২৪টি (৯.৫৫%) এবং রাতে ১২১৯টি (২২.২২%)।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান: দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২১.৩৬%, প্রাণহানি ২৪.৩৬%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৮৭%, প্রাণহানি ১৩.৮৪%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.১০%, প্রাণহানি ২০.৪৮%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩.২৭%, প্রাণহানি ১২.৬৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৫%, প্রাণহানি ৬.১০%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৮১%, প্রাণহানি ৫.৩৪%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০.৯৩%, প্রাণহানি ১০.০৭% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.১৬%, প্রাণহানি ৭.০৭% ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৭২টি দুর্ঘটনায় ১৩৬৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১৯টি দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত হয়েছেন।