ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন যুক্তরাষ্ট্রে!

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হননি বিক্ষোভ দমনে গুলি ছুঁড়তে নির্দেশ দেয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এরমধ্যে বেশি আলোচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির কয়েকজনের সহায়তায় তিনি সেখানেই গোপনে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সেখানকার একটি ভবনের সম্মেলনকক্ষে হারুন অর রশিদ বসে রয়েছেন এমন একটি ছবি সূত্রের বরাতে নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। সেখানকার একটি ভবনের সম্মেলনকক্ষে হারুন অর রশিদ বসে রয়েছেন- এমন একটি ছবি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’র হাতে এসেছে।

একটি সূত্র বলছে, তিনি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে দেশ ছেড়েছেন। ২০০৬ সালে ডিভি লটারি পেয়ে তার স্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। সেই সূত্রে তারা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকায় গণঅভ্যুত্থানের পর হারুন অর রশিদ নিউইয়র্ক স্টেটের লং আইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সরকার পতনের পর অন্তত ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতির কারণে বরখাস্তের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম। সাংবাদিকেরা পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদেরকেই তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন হারুন অর রশিদ। তারপর থেকে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তার নাম আসে। ডিবিতে মানুষকে তুলে নেওয়া, বিরোধী দলের আন্দোলনে ‘বোমা উদ্ধারের’ প্রহসন, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়- ইত্যাদি অভিযোগে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।

গত ৫ আগস্টের পর একটি সূত্র দাবি করেছিল, তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হারুন অর রশিদকে নিয়ে তারপর থেকেই জনমনে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার অবস্থানের বিষয়ে আর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

অপর একটি সূত্র অবশ্য নিশ্চিত করেছে, ৬ আগস্ট হারুন অর রশিদ গণপিটুনির শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার এক আত্মীয় টিবিএসকে তখন বলেছিলেন, ‘হারুন এতটাই ‘জনপ্রিয়’ হয়ে গেছেন যে এখন প্রকাশ্যে আসতেও ভয় পাচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার সময় জনতার ঢল গণভবনে ঢুকে পড়লে হারুন অর রশিদ ওয়াকিটকিতে গণভবন প্রটেকশন বিভাগের সদস্যদের অ্যাকশনে যেতে বলেন। কিন্তু ওয়াকিটকির অপর প্রান্ত থেকে আর কোনো উত্তর আসেনি। ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় জনতাকে গণভবনে ঢুকতে দেখে হারুন অর রশিদ ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়েন। এরপর দীর্ঘক্ষণ তিনি আর কোনো কথা বলেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন যুক্তরাষ্ট্রে!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হননি বিক্ষোভ দমনে গুলি ছুঁড়তে নির্দেশ দেয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এরমধ্যে বেশি আলোচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির কয়েকজনের সহায়তায় তিনি সেখানেই গোপনে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সেখানকার একটি ভবনের সম্মেলনকক্ষে হারুন অর রশিদ বসে রয়েছেন এমন একটি ছবি সূত্রের বরাতে নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। সেখানকার একটি ভবনের সম্মেলনকক্ষে হারুন অর রশিদ বসে রয়েছেন- এমন একটি ছবি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’র হাতে এসেছে।

একটি সূত্র বলছে, তিনি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে দেশ ছেড়েছেন। ২০০৬ সালে ডিভি লটারি পেয়ে তার স্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। সেই সূত্রে তারা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা থাকায় গণঅভ্যুত্থানের পর হারুন অর রশিদ নিউইয়র্ক স্টেটের লং আইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সরকার পতনের পর অন্তত ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতির কারণে বরখাস্তের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম। সাংবাদিকেরা পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদেরকেই তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে এক মিছিলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন হারুন অর রশিদ। তারপর থেকে বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তার নাম আসে। ডিবিতে মানুষকে তুলে নেওয়া, বিরোধী দলের আন্দোলনে ‘বোমা উদ্ধারের’ প্রহসন, হেফাজতে নির্যাতন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়- ইত্যাদি অভিযোগে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।

গত ৫ আগস্টের পর একটি সূত্র দাবি করেছিল, তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হারুন অর রশিদকে নিয়ে তারপর থেকেই জনমনে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার অবস্থানের বিষয়ে আর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

অপর একটি সূত্র অবশ্য নিশ্চিত করেছে, ৬ আগস্ট হারুন অর রশিদ গণপিটুনির শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার এক আত্মীয় টিবিএসকে তখন বলেছিলেন, ‘হারুন এতটাই ‘জনপ্রিয়’ হয়ে গেছেন যে এখন প্রকাশ্যে আসতেও ভয় পাচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার সময় জনতার ঢল গণভবনে ঢুকে পড়লে হারুন অর রশিদ ওয়াকিটকিতে গণভবন প্রটেকশন বিভাগের সদস্যদের অ্যাকশনে যেতে বলেন। কিন্তু ওয়াকিটকির অপর প্রান্ত থেকে আর কোনো উত্তর আসেনি। ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় জনতাকে গণভবনে ঢুকতে দেখে হারুন অর রশিদ ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়েন। এরপর দীর্ঘক্ষণ তিনি আর কোনো কথা বলেননি।