ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীজির শানে কটূক্তিকারীর শাস্তির দাবিতে বাড্ডা-ভাটারায় বিক্ষোভ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের কুলাঙ্গার রামগিরি মহারাজ ও বিজিবি নেতা নিতেশ নারায়ন কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মোবারক শানে কটুক্তি করবে, আর আমরা বসে থাকবো তা হতে পারে না। বিচার না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো। ভারত সরকারকে বলছি অনতিবিলম্বে যে কুলাঙ্গার কটুক্তি করেছে তার বিচার সুনিশ্চিত করুন এবং যে কুলাঙ্গার সমর্থন জানিয়েছে তাকেও ভারতের সংসদ থেকে প্রত্যাখ্যানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাড্ডা-ভাটারা এলাকার সর্বস্তরের মুসলমান ও ছাত্র-জনতা।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সম্প্রতি ভারতে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জনসাধারণের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম, এড. মুহম্মদ জহিরুদ্দিন নিপু, এনামুল হক সাকিল, মুহম্মদ রুবেল, মুহম্মদ নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ রানে কতৃক এই অবমাননাকর বক্তব্যের সমর্থন। শুধু তাই নয়, মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিমবিদ্বেষী বিজেপির এই বিধায়ক। আমরা এদের গ্রেফতার ও মৃত্যুদন্ডের দাবি জানাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি হিন্দু পুরোহিত কুলাঙ্গার রামগিরি ও বিজেপির সাংসদ নীতেশ নারায়ণকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা। তা না হলে লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য ভারত একেক সময় একেক ইস্যু তৈরি করে। আমরা ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই রাসূল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে কেউ কোনোদিন ছাড় পায়নি। যারা এমন অসভ্য খেলা শুরু করেছে তার খেসারত দিতে প্রস্তুত হোন। যারা প্রিয়নবীর ইজ্জতের বরখেলাপ করবে আমরা তাদের ছাড় দিতে রাজি নই।

তারা আরও বলেন, ভারত সরকারকে বলছি অনতিবিলম্বে এই কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। তা নাহলে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।

বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে দেশে নতুন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো দেশে যেন কেউ রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি না করতে পারে সেজন্য সংসদে আইন প্রণয়ন করুন। নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।

তারা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার। দূর্গা পূজাকে সার্বজনিন বলা যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে যত্রতত্র পূজা নয় করা চলবে না। পূজাকে কেন্দ্র করে কোন মন্দিরে মদ খাওয়া চলবে না। উন্মুক্ত পানিতে পূজার মূর্তি ডুবিয়ে পানি দূষণ চলবে না। দূর্গা পূজার ছুটি সাধারণ নয়, বরং ঐচ্ছিক করতে হবে। ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে যারা ‘অখণ্ড ভারত’ চাইবে, তাদের গ্রেফতার করে, শাস্তি দাও ভারতীয় কুলাঙ্গার রামগিরির একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হউক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নবীজির শানে কটূক্তিকারীর শাস্তির দাবিতে বাড্ডা-ভাটারায় বিক্ষোভ (ভিডিও)

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের কুলাঙ্গার রামগিরি মহারাজ ও বিজিবি নেতা নিতেশ নারায়ন কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মোবারক শানে কটুক্তি করবে, আর আমরা বসে থাকবো তা হতে পারে না। বিচার না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো। ভারত সরকারকে বলছি অনতিবিলম্বে যে কুলাঙ্গার কটুক্তি করেছে তার বিচার সুনিশ্চিত করুন এবং যে কুলাঙ্গার সমর্থন জানিয়েছে তাকেও ভারতের সংসদ থেকে প্রত্যাখ্যানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাড্ডা-ভাটারা এলাকার সর্বস্তরের মুসলমান ও ছাত্র-জনতা।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সম্প্রতি ভারতে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জনসাধারণের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম, এড. মুহম্মদ জহিরুদ্দিন নিপু, এনামুল হক সাকিল, মুহম্মদ রুবেল, মুহম্মদ নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ রানে কতৃক এই অবমাননাকর বক্তব্যের সমর্থন। শুধু তাই নয়, মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিমবিদ্বেষী বিজেপির এই বিধায়ক। আমরা এদের গ্রেফতার ও মৃত্যুদন্ডের দাবি জানাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি হিন্দু পুরোহিত কুলাঙ্গার রামগিরি ও বিজেপির সাংসদ নীতেশ নারায়ণকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা। তা না হলে লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য ভারত একেক সময় একেক ইস্যু তৈরি করে। আমরা ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই রাসূল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে কেউ কোনোদিন ছাড় পায়নি। যারা এমন অসভ্য খেলা শুরু করেছে তার খেসারত দিতে প্রস্তুত হোন। যারা প্রিয়নবীর ইজ্জতের বরখেলাপ করবে আমরা তাদের ছাড় দিতে রাজি নই।

তারা আরও বলেন, ভারত সরকারকে বলছি অনতিবিলম্বে এই কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। তা নাহলে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।

বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে দেশে নতুন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো দেশে যেন কেউ রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি না করতে পারে সেজন্য সংসদে আইন প্রণয়ন করুন। নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।

তারা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার। দূর্গা পূজাকে সার্বজনিন বলা যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে যত্রতত্র পূজা নয় করা চলবে না। পূজাকে কেন্দ্র করে কোন মন্দিরে মদ খাওয়া চলবে না। উন্মুক্ত পানিতে পূজার মূর্তি ডুবিয়ে পানি দূষণ চলবে না। দূর্গা পূজার ছুটি সাধারণ নয়, বরং ঐচ্ছিক করতে হবে। ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে যারা ‘অখণ্ড ভারত’ চাইবে, তাদের গ্রেফতার করে, শাস্তি দাও ভারতীয় কুলাঙ্গার রামগিরির একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হউক।