ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হাজী ক্যাম্পে ওয়াজ মাহফিল (ভিডিও)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে চট্টগ্রাম হাজী ক্যাম্প কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আজিমুশশান নূরানী মিলাদ ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবন, কর্ম ও শিক্ষা এবং ইসলামে শান্তি, প্রগতি, সৌহার্দ্য, সহিষ্ণুতা, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার ও নারীর মর্যাদা শীর্ষক এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম হাজীক্যাম্প কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নেছারিয়া এম.এ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ রফিক উদ্দীন সিদ্দিকি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুফতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ রফিক উদ্দীন সিদ্দিকি ‘মানবজাতির জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অবদান’ তুলে ধরে বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মানবজাতির জন্য একটি বিশেষ দিন। মহান আল্লাহ মহানবীকে পাঠিয়েছিলেন বলেই আমরা মুক্তি ও শান্তির পথ পেয়েছি। তিনি মানবজাতির জন্য সবচেয়ে আদর্শবান। আমরা যেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহানবীকে ধারণ করতে পারি, অনুসরণ করে জীবন গড়তে পারি- মহান আল্লাহর কাছে সেটাই আমাদের চাওয়া।
তিনি বলেন, মহানবীর জীবনকে আমি বলবো একটি ‘টু ডাইমেনশনাল’ বিষয়। একটি হচ্ছে ইহকালের সৎ পথে চলা, মানুষের সেবা করা, হক আদায় করা এবং মহানবীর অন্যান্য মানবিক গুণাবলি অনুসরণ করা। আরেকটি হচ্ছে পরকাল, যেটি আমরা এখনও কেউ দেখিনি। তবে পরকালে আমরা যেন শান্তিতে থাকতে পারি, সেই পথগুলো মহানবী আমাদের বলে দিয়েছেন। মহানবীর জবান মোবারক থেকে যেসব আমল বলে গেছেন, যেভাবে চলাফেরা করেছেন সেসব হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা যদি সেগুলো সঠিকভাবে চর্চা করতে পারি এবং বিচ্যুত না হই, তাহলে আমরা পরকালেও শান্তি পাবো।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাওলানা আলহাজ্ব মুস্তাফিজুর রহমান ইসলামের প্রচার ও প্রসারে মহানবী (সা.) এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নবী করিম (সা.) তার পুরো জীবন ইসলাম ধর্মের খেদমতে অতিবাহিত করেছেন। তিনি আমাদের সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। মহানবী (সা.) এর শিক্ষা অনুসরণ করে আমরা যেন নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে পারি সেই চেষ্টা করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, মহানবীর জীবনের শুরু আছে। কিন্তু কোনো শেষ নেই। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করার পর থেকে তার আদর্শ, জীবন দর্শন অনন্তকাল ধরে সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। একজন আদর্শ মানুষের সব গুণাবলি তার মধ্যে ছিল। পরকালে মুক্তি পেতে ইহকালে মহানবীকে অনুসরণ ও অনুকরণের কোনো বিকল্প নেই। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে মহানবীকে অনুসরণ করতে হবে। তাহলেই পরকালে মুক্তির পথ সহজ হবে।