আওয়ামী লীগ নেতাদের পেটে সাঁকো সংস্কারের টাকা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে বাঁশের সাঁকো। দুই পাশের হাতলও ভেঙে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কেউ ভাঙা, ডোবা সাকো পার হয়ে আবার কেউ বিকল্প ৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। সাঁকো পাড় হওয়ার সময় পা পিছলে নদের মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে অহরহ। এমন দৃশ্য যশোর সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বোলপুর গ্রামে। গ্রাম দুটির মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ী ভৈরব নদ। সম্প্রতি ভারি বর্ষণে নদের পানির স্রোতের তোড়ে গ্রাম দুটির ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের একমাত্র সাঁকোটির এখন বেহাল অবস্থা। এই অবস্থায় ভাঙ্গা ও পানিতে ডুবে থাকা সাঁকোটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ডাকাতিয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকায় ২০০৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার সাঁকোটি নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করা হয় । বিগত ১৬ বছর ধরে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানানো হলেও সেটি আজও আলোর মুখ দেখেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানায়, ২০১৮ সালে সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ এ সাঁকো নির্মাণের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু এমপির পিএস আবু মোসা মধু ও কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইনতাজ আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট অর্থ হস্তান্তর না করে নিজেদের মতো দায়সারা ভাবে সাঁকো মেরামত করে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে সাঁকোটি নির্মাণ করলেও চলতি বছর প্রবল বৃষ্টিতে পানির স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে সাঁকোটি দ্রুত ভেঙে যায়।
বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক কামরুল আহসান বলেন, ১৫-১৬ বছর সরকারি ভাবে সেতু নির্মাণ না হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
যদি সাকোঁ পার না হয়; তাহলে ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে আসতে হয়। যা খুবই কষ্টকর। সাঁকো পার হয়ে আসার সময় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার রুমি বলে, সাঁকোটি যাওয়া আসার জন্য অনুপযোগী হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করতে পারি না।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম ও তৌফিক জানায়, স্কুলে আসা যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় ও বই-খাতা ভিজে যায়। শামুকে পা কেটে যায়। এভাবে চলাচল করতে না পেরে আমার অনেক বন্ধু ষষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হয়নি তারা দূরে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, স্কুল কতৃপক্ষ আমার কাছে একটি লিখিত আবেদন নিয়ে আসলে আমি তাৎক্ষণিক একটা সমাধানের ব্যবস্থা নেব।