ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসি পদ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল: শাস্তির মুখে ১৭ কর্মকর্তা

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিসি পদায়নকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিবের রুমে হাতাহাতির ঘটনায় ১৭ উপসচিবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। শাস্তির মুখে থাকা ১৭ কর্মকর্তার মধ্যে পুরুষ ১৫ জন এবং দুজন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ৮ জনকে গুরুদণ্ড, ৪ জনকে লঘুদণ্ড ও ৫ জনকে তিরস্কারের শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করে।

গুরুদণ্ড দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়ে -মো. জসিম উদ্দিন, রেবেকা খান, নুরজাহান খানম, মো. নুরুল করিম ভূঁইয়া, মো. সাইফুল হাসান, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, নুরুল হাফিজ এবং মোতাকাব্বীর আহমেদের বিরুদ্ধে।

লঘুদণ্ডের সুপারিশ থাকা কর্মকতারা হলো- মো. আ. কুদ্দুস, আবদুল মালেক,হাসান হাবীব, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নজরুল।

শাস্তি হিসেবে ‘তিরস্কার’ করার সুপারিশ থাকা ৫ জন হলো- মো. মুনিরুজ্জামান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. সগীর হোসেন, মো. হেমায়েত উদ্দীন, মো. তোফায়েল হোসেন। ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্রার দণ্ড।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি আনরেস্ট (অসন্তোষ) হয়েছিলেঅ। সেটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এর প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, ১৭ জনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনটি পর্যায়ে তিনি সাজেস্ট করেন কী কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

আটজনের বিষয় বলা হয়, তদন্তসাপেক্ষে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে গুরুদণ্ড দেয়া যেতে পারে। চারজনের বিষয় বলা হয়েছে তদন্তসাপেক্ষে বিধিবিধান অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। আর পাঁচজনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাদের শাস্তি ‘তিরস্কার’ দেওয়া যেতে পারে। তাদের সাবধান করা, যাতে ভবিষ্যতে এটা না করে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে দিনভর হট্টগোল করার পর বিকালে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা হট্টগোল করার সময় ডিসি হিসেবে পদায়নের আশ্বাস পেয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ডিসি পদ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল: শাস্তির মুখে ১৭ কর্মকর্তা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

ডিসি পদায়নকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিবের রুমে হাতাহাতির ঘটনায় ১৭ উপসচিবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। শাস্তির মুখে থাকা ১৭ কর্মকর্তার মধ্যে পুরুষ ১৫ জন এবং দুজন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ৮ জনকে গুরুদণ্ড, ৪ জনকে লঘুদণ্ড ও ৫ জনকে তিরস্কারের শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করে।

গুরুদণ্ড দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়ে -মো. জসিম উদ্দিন, রেবেকা খান, নুরজাহান খানম, মো. নুরুল করিম ভূঁইয়া, মো. সাইফুল হাসান, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, নুরুল হাফিজ এবং মোতাকাব্বীর আহমেদের বিরুদ্ধে।

লঘুদণ্ডের সুপারিশ থাকা কর্মকতারা হলো- মো. আ. কুদ্দুস, আবদুল মালেক,হাসান হাবীব, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নজরুল।

শাস্তি হিসেবে ‘তিরস্কার’ করার সুপারিশ থাকা ৫ জন হলো- মো. মুনিরুজ্জামান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. সগীর হোসেন, মো. হেমায়েত উদ্দীন, মো. তোফায়েল হোসেন। ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্রার দণ্ড।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি আনরেস্ট (অসন্তোষ) হয়েছিলেঅ। সেটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এর প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, ১৭ জনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনটি পর্যায়ে তিনি সাজেস্ট করেন কী কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

আটজনের বিষয় বলা হয়, তদন্তসাপেক্ষে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে গুরুদণ্ড দেয়া যেতে পারে। চারজনের বিষয় বলা হয়েছে তদন্তসাপেক্ষে বিধিবিধান অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। আর পাঁচজনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাদের শাস্তি ‘তিরস্কার’ দেওয়া যেতে পারে। তাদের সাবধান করা, যাতে ভবিষ্যতে এটা না করে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে দিনভর হট্টগোল করার পর বিকালে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা হট্টগোল করার সময় ডিসি হিসেবে পদায়নের আশ্বাস পেয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।