মৃত ব্যক্তিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, স্বজনদের বিক্ষোভ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার সাঘাটায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারের পর মৃত দুই ব্যক্তিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মনজুর আলম মিঠু, মাসুদার রহমান মাসুদ, সিরাজুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, গ্রেফতারের পর চেয়ারম্যান সুইটসহ ৫ জনকে মারপিট ও নির্যাতন করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। ফলে আপেল ও শফিকুলের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন এন্ড ফিন্যান্স) ইবনে মিজান।
সাঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে ‘অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য’ আইনে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলো- সাঘাটা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট (৪৫), গোবিন্দী বাঁশহাটি এলাকার সেরায়েত আলীর ছেলে শাহাদাৎ হোসেন পলাশ (৪৫), উত্তর সাথালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম রকি (২৮), গোবিন্দী এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫) ও একই এলাকার মালেক উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫)।
মৃত ব্যক্তির নামে মামলা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, ‘মামলার চার্জশীটে তাদের নাম বাদ পড়বে’। তবে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা প্রসঙ্গে এই মামলার বাদি ও সাঘাটা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার রায়ের দাবি, ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুর আগেই মঙ্গলবার সকালে পাঁচজনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ, গত ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে জেলার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ভরতখালীর গোবিন্দী এলাকা থেকে তাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আসামিদের মধ্যে ১০ আগস্ট সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামকে যৌথ বাহিনীর গ্রেফতারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। পরে তাদের ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়#