ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন

এস এম শরিফুল ইসলাম, নড়াইল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতাউর রহমান আফতাব (৪০) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। নিজ দলীয় নেতাকর্মীরা এই ঘটনার ঘটিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায় ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত আতাউর রহমান আফতাব একই গ্রামের আসাদ মোল্যার ছেলে ও কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।

এলাকাবাসী ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাবের সঙ্গে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ আসছিল। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আতাউর রহমান পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাব বাড়ি থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুল সমর্থিত লোকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বলে অভিযোগ আহতের স্বজনদের। রাতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, আহত আতাউর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতলে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোপে তার বাম হাত ঝুলে আছে, ডান হাত, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কোপের আঘাত রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন সোমবার (২সেপ্টেম্বর)সকালে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে দুই গ্রæপের মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা ও হয়েছে। আজকের হামলার ঘটনায় অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতাউর রহমান আফতাব (৪০) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। নিজ দলীয় নেতাকর্মীরা এই ঘটনার ঘটিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায় ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত আতাউর রহমান আফতাব একই গ্রামের আসাদ মোল্যার ছেলে ও কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।

এলাকাবাসী ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক ও বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাবের সঙ্গে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ আসছিল। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আতাউর রহমান পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আতাউর রহমান আফতাব বাড়ি থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীর মুন্সির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুল সমর্থিত লোকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বলে অভিযোগ আহতের স্বজনদের। রাতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী হাসান বলেন, আহত আতাউর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতলে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোপে তার বাম হাত ঝুলে আছে, ডান হাত, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কোপের আঘাত রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন পিকুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন সোমবার (২সেপ্টেম্বর)সকালে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে দুই গ্রæপের মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা ও হয়েছে। আজকের হামলার ঘটনায় অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।