রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবেছে, কমতে শুরু করেছে পানি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
কাপ্তাই হ্রদের পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতুটি এক ফুট পানিতে ডুবে গেছে। পর্যটকদের চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে লোকজন এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।
জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে পাহাড়ী ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভোরে রাঙামাটি অন্যতম ঝুলন্ত সেতুর ওপর এক ফুট পানি উঠেছে। পর্যটকদের চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলী জল বিদ্যূৎ প্রকল্প জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানি উচ্চতা রয়েছে ১০৫.৮৪ ফুট মিন সী লেভেল (এমএসএল)। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সী লেভেল (এমএসএল)। বর্তমানে ৫টি ইউনিট থেকে ২১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, টানা ভারী বর্ষনের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় এক ফুট পানিতে ডুবে যাওয়ায় দর্শনাথীদের চলাচলের জন্য পর্যটনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এদিকে,টানা বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাঙামাটি সদর, বাঘাইছড়ি,কাউখালী, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলা। এতে ১২টি গ্রামের গ্রামে প্রায় দশ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন ও ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বৃষ্টি কমায় বন্যা পানি কমতে শুরু করেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পানি সরে যেতে আরো দুই একদিন সময় লাগতে পারে। বন্যা কবলিত লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজনদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।