ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও পাহাড় ধসের শঙ্কা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারে তিনদিন ধরে সাগর উত্তাল। সেই সাথে চলছে ভারী বর্ষণ। এতে করে বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। জারি করা হয়েছে ৩ নাম্বার সর্তকতা সংকেত।

অন্যদিকে, কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। গত রোববার (১৮ আগস্ট) ভোরে পেকুয়ার শিলখালীতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়। তার আগে শনিবার রাত থেকে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে অর্ধশতাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। কোথাও ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডব চলছে। ঝড়ো হাওয়ায় টেকনাফে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। ২০টির বেশি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচ-সাতটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ৩০টির বেশি গ্রাম অন্ধকার ডুবে আছে।

ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত সড়ক, বড়বাজার, টেকপাড়া, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, কালুদোকান এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আরো ১৯৪ মিলিমিটার। আরো দুই থেকে তিনদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ শুরু হলে পাহাড়ধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে এলাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এদিকে রোহিঙ্গা নেতারা জানান, উখিয়ার বালুখালী, জুমশিয়া, কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া,ময়নারঘোনা আশ্রয়শিবিরের অন্তত ২০-৩০টি স্থানে ৪০টির মতো ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়াসহ বালুখালী ক্যাম্পগুলো গড়ে তোলা হয়েছে উঁচু পাহাড় কেটে। ভারী বর্ষণ হলে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল ধরে। এখন বৃষ্টির পানিতে সেই ফাটল ধসে পড়ছে। ভূমিধসের শঙ্কায় আছেন অন্তত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ভূমিধসের অতিঝুঁকিতে থাকা অন্তত ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদের ভূমিধসের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আবারও পাহাড় ধসের শঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

কক্সবাজারে তিনদিন ধরে সাগর উত্তাল। সেই সাথে চলছে ভারী বর্ষণ। এতে করে বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। জারি করা হয়েছে ৩ নাম্বার সর্তকতা সংকেত।

অন্যদিকে, কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। গত রোববার (১৮ আগস্ট) ভোরে পেকুয়ার শিলখালীতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়। তার আগে শনিবার রাত থেকে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে অর্ধশতাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। কোথাও ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডব চলছে। ঝড়ো হাওয়ায় টেকনাফে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। ২০টির বেশি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচ-সাতটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ৩০টির বেশি গ্রাম অন্ধকার ডুবে আছে।

ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত সড়ক, বড়বাজার, টেকপাড়া, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, কালুদোকান এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আরো ১৯৪ মিলিমিটার। আরো দুই থেকে তিনদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ শুরু হলে পাহাড়ধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে এলাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এদিকে রোহিঙ্গা নেতারা জানান, উখিয়ার বালুখালী, জুমশিয়া, কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া,ময়নারঘোনা আশ্রয়শিবিরের অন্তত ২০-৩০টি স্থানে ৪০টির মতো ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়াসহ বালুখালী ক্যাম্পগুলো গড়ে তোলা হয়েছে উঁচু পাহাড় কেটে। ভারী বর্ষণ হলে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল ধরে। এখন বৃষ্টির পানিতে সেই ফাটল ধসে পড়ছে। ভূমিধসের শঙ্কায় আছেন অন্তত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ভূমিধসের অতিঝুঁকিতে থাকা অন্তত ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদের ভূমিধসের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।