ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘের প্রাথমিক প্রতিবেদন

ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেনেভা থেকে প্রকাশিত সংস্থার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে মারা গেছে ৪০০ জন। এছাড়া ৫ থেকে ৬ আগস্টে মারা গেছে ২৫০ জন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের মুভমেন্টকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারী, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। ১০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর এবং বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিগত আগওয়ামী লীগ সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করেছে। জাতিসংঘ বলছে আ ‘লীগ সরকার আন্দোলনে নির্বিচারে বল প্রয়োগে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। মোট ২১টি পরামর্শ দেয়া হয়। রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও ফৌজাদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জাতিসংঘের প্রাথমিক প্রতিবেদন

ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪


বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেনেভা থেকে প্রকাশিত সংস্থার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে মারা গেছে ৪০০ জন। এছাড়া ৫ থেকে ৬ আগস্টে মারা গেছে ২৫০ জন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের মুভমেন্টকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারী, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। ১০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর এবং বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিগত আগওয়ামী লীগ সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করেছে। জাতিসংঘ বলছে আ ‘লীগ সরকার আন্দোলনে নির্বিচারে বল প্রয়োগে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। মোট ২১টি পরামর্শ দেয়া হয়। রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও ফৌজাদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।