ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘স্বৈরাচারের মৃত্যু কখনো শোক দিবস হতে পারে না’

সোহরাব হোসেন সৌরভ, রাজশাহী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর জিরো পয়েন্টে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে জমায়েত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এর আগে সকাল ১০টায় নগরীর তালাইমারী, রেলগেট, সিএন্ডবি থেকে মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে জরো হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষকদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।

রাবি শিক্ষার্থী মোজাহিদ শুভ’র সঞ্চালনায় রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্ষম হয়েছি। এই বাংলায় তাদের আর ঠাই দেয়া হবে না। আমরা যখন মরতে শিখেছি আমাদের আর কোনো দিন আওয়ামী লীগ মারতে পারবে না। এ বাংলার আনাচে কানাচে সবাই একতাবদ্ধ। এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া আর চলবে না। শেখ হাসিনা তোমার বাবা ছিল ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত স্বৈরাচার। এই স্বৈরাচারীর হত্যা হয়েছিল এই পনের আগস্ট। স্বৈরাচারের মৃত্যু কখনো শোক দিবস হতে পারে না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মোহাম্মদ ফাহিম রেজা বলেন, শেখ মুজিব ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছওল বঙ্গবন্ধু। ৭২র পর থেকে মুজিব ছিল সৈরাচারী। সৈরাচারী শেখ হাসিনা আমাদের ভাইদের যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সেই শোকে আমরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পালন করতে পারি না।

সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় চার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরসহ সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘স্বৈরাচারের মৃত্যু কখনো শোক দিবস হতে পারে না’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

রাজশাহীতে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর জিরো পয়েন্টে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে জমায়েত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এর আগে সকাল ১০টায় নগরীর তালাইমারী, রেলগেট, সিএন্ডবি থেকে মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে জরো হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষকদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।

রাবি শিক্ষার্থী মোজাহিদ শুভ’র সঞ্চালনায় রাজশাহীর অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্ষম হয়েছি। এই বাংলায় তাদের আর ঠাই দেয়া হবে না। আমরা যখন মরতে শিখেছি আমাদের আর কোনো দিন আওয়ামী লীগ মারতে পারবে না। এ বাংলার আনাচে কানাচে সবাই একতাবদ্ধ। এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া আর চলবে না। শেখ হাসিনা তোমার বাবা ছিল ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত স্বৈরাচার। এই স্বৈরাচারীর হত্যা হয়েছিল এই পনের আগস্ট। স্বৈরাচারের মৃত্যু কখনো শোক দিবস হতে পারে না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মোহাম্মদ ফাহিম রেজা বলেন, শেখ মুজিব ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছওল বঙ্গবন্ধু। ৭২র পর থেকে মুজিব ছিল সৈরাচারী। সৈরাচারী শেখ হাসিনা আমাদের ভাইদের যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সেই শোকে আমরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পালন করতে পারি না।

সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় চার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরসহ সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।