ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে দাবি জয়ের

পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা, তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশত্যাগের আগে পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা । সংবিধান মতে তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে।

তিনি বলেন, ‘ আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি । সেই সময় তিনি পাননি । একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার । কিন্তু এরপর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে লাগল এবং তখন আর সময় ছিল না । এমনকি আমার মা গোছানোর সময়টুকুও পায়নি । সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ।’

জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে । শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস । এই সরকারের মেয়াদ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি । তবে আগামী তিন মাসের ভেতর বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চাইছেন জয় । যেখানে অংশ নেবে আওয়ামী লীগও ।
a
রয়টার্সের দেওয়া তথ্যমতে, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ জনের মতো । তবে ছাত্রদের ওপর তার মা গুলি চালানোর কোন নির্দেশনা দেননি । শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যেকোন বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও জানান জয় ।

তিনি বলেন, ‘ গ্রেপ্তারের হুমকিতে আমার মা আগেও কখনো ভয় পাননি । আমার মা ভুল কিছু করেননি । শুধু তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন, এর মানে এই নয় যে, আমার মায়ের নির্দেশেই কাজগুলো করেছেন তারা । এর মানে এই নয় যে, আমার মা এসবের জন্য দায়ী । যারা এর জন্য দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত । আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করার জন্য আমার মা কাউকে আদেশ দেননি । পুলিশ সহিংসতা ঠেকানোর চেষ্টা করে গেছে কিন্তু কিছু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছেন ।’

প্রতিশোধ না নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকেও স্বাগত জানান জয় । তিনি বলেন, ‘ আমি আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে । না হলে, আমরা বিরোধী দল হব । যেটাই হোক ভালো হবে । আমি মিসেস খালেদা জিয়ার ভাষণ শুনে খুশি হয়েছি । আসুন আমরা অতীতকে ভুলে যাই । আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি । ঐক্যবদ্ধ সরকার হোক বা না হোক, আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে । বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে আমি বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী । তাদের সঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে । আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতিতে আলাপ- আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমরা তর্ক করতে পারি, অসম্মতিতে একমত হতে পারি এবং সবসময় একটি সমঝোতা পথ খুঁজে পেতে পারি ।’

আওয়ামী লীগ চাইলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ভাববেন জয়, ‘ এই মেয়াদ শেষে এমনিতেই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যেত । যদি দল আমাকে চায়, আমি অবশ্যই সেটা বিবেচনায় রাখব ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে দাবি জয়ের

পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা, তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশত্যাগের আগে পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা । সংবিধান মতে তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে।

তিনি বলেন, ‘ আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি । সেই সময় তিনি পাননি । একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার । কিন্তু এরপর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে লাগল এবং তখন আর সময় ছিল না । এমনকি আমার মা গোছানোর সময়টুকুও পায়নি । সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ।’

জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে । শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস । এই সরকারের মেয়াদ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি । তবে আগামী তিন মাসের ভেতর বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চাইছেন জয় । যেখানে অংশ নেবে আওয়ামী লীগও ।
a
রয়টার্সের দেওয়া তথ্যমতে, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ জনের মতো । তবে ছাত্রদের ওপর তার মা গুলি চালানোর কোন নির্দেশনা দেননি । শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যেকোন বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও জানান জয় ।

তিনি বলেন, ‘ গ্রেপ্তারের হুমকিতে আমার মা আগেও কখনো ভয় পাননি । আমার মা ভুল কিছু করেননি । শুধু তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন, এর মানে এই নয় যে, আমার মায়ের নির্দেশেই কাজগুলো করেছেন তারা । এর মানে এই নয় যে, আমার মা এসবের জন্য দায়ী । যারা এর জন্য দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত । আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করার জন্য আমার মা কাউকে আদেশ দেননি । পুলিশ সহিংসতা ঠেকানোর চেষ্টা করে গেছে কিন্তু কিছু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছেন ।’

প্রতিশোধ না নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকেও স্বাগত জানান জয় । তিনি বলেন, ‘ আমি আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে । না হলে, আমরা বিরোধী দল হব । যেটাই হোক ভালো হবে । আমি মিসেস খালেদা জিয়ার ভাষণ শুনে খুশি হয়েছি । আসুন আমরা অতীতকে ভুলে যাই । আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি । ঐক্যবদ্ধ সরকার হোক বা না হোক, আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে । বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে আমি বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী । তাদের সঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে । আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতিতে আলাপ- আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমরা তর্ক করতে পারি, অসম্মতিতে একমত হতে পারি এবং সবসময় একটি সমঝোতা পথ খুঁজে পেতে পারি ।’

আওয়ামী লীগ চাইলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ভাববেন জয়, ‘ এই মেয়াদ শেষে এমনিতেই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যেত । যদি দল আমাকে চায়, আমি অবশ্যই সেটা বিবেচনায় রাখব ।’