ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে মহাসড়কে নেই যানবাহন, বন্ধ শিল্প কারখানা

গাজীপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ চলাকালে গাজীপুরে বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে যানবাহন তেমন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার কোন গাড়ি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। স্বল্প দূরত্বে আঞ্চলিক সড়কে মাঝেমধ্যে দুই একটি গাড়ি চলাচল করলেও সংখ্যায় অনেক কম। শুধুমাত্র অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করছে। চান্দনা চৌরাস্তা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।

এছাড়া র্যাব, বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক কারখানা সহ বিভিন্ন কল কারখানা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কম। যারাই বের হচ্ছেন তাদের সেনা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এখনো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, সভা- মিছিল বা সহিংস আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়নি। পুরো জেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে, রোববার আন্দোলনকারীরা দিনভর গাজীপুরে তান্ডব চালায়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, কালিয়াকৈর ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ডাক বাংলো, পুলিশ বক্স, সড়ক ভবন ও বেশ কয়েকটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া বাসন ও কালিয়াকৈর থানায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে মারা গেছে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। নিহত তোফাজ্জল হোসেন (২২) নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাটি গ্রামের মো. আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে ভাড়া থেকে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান জানান, নিহত তোফাজ্জল কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় জৈনাবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষ শেষে নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ার পর তোফাজ্জলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তোফাজ্জলকে রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, তোফাজ্জল হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাজীপুরে মহাসড়কে নেই যানবাহন, বন্ধ শিল্প কারখানা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ চলাকালে গাজীপুরে বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে যানবাহন তেমন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার কোন গাড়ি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। স্বল্প দূরত্বে আঞ্চলিক সড়কে মাঝেমধ্যে দুই একটি গাড়ি চলাচল করলেও সংখ্যায় অনেক কম। শুধুমাত্র অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করছে। চান্দনা চৌরাস্তা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।

এছাড়া র্যাব, বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক কারখানা সহ বিভিন্ন কল কারখানা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কম। যারাই বের হচ্ছেন তাদের সেনা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এখনো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, সভা- মিছিল বা সহিংস আন্দোলনের খবর পাওয়া যায়নি। পুরো জেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে, রোববার আন্দোলনকারীরা দিনভর গাজীপুরে তান্ডব চালায়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, কালিয়াকৈর ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ডাক বাংলো, পুলিশ বক্স, সড়ক ভবন ও বেশ কয়েকটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া বাসন ও কালিয়াকৈর থানায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে মারা গেছে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। নিহত তোফাজ্জল হোসেন (২২) নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাটি গ্রামের মো. আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে ভাড়া থেকে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান জানান, নিহত তোফাজ্জল কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় জৈনাবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষ শেষে নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীরা চলে যাওয়ার পর তোফাজ্জলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তোফাজ্জলকে রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, তোফাজ্জল হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে।