স্বেচ্ছায় অবসরে ছাগলকাণ্ডের মতিউর
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবসরে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মকিমা বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এনবিআর কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত এর চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী চলতি বছরের ২৯ আগস্ট সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। এ সময়ে তিনি অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা অবসর উত্তর ছুটি, লাম্পগ্র্যান্ট এবং পেনশন পাবেন না।
মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে। এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন ছাড়াও মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
দু’দক সূত্র জানায়, মতিউরের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য রয়েছে। বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, জমি, ব্যবসা, শেয়ার ব্যবসা, ব্যাংকে নগদ অর্থ, মেয়াদি আমানতসহ সবকিছুই রয়েছে তার নামে।
মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে চলতি বছরের ২৩ জুন ৩ সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ২ জুলাই মতিউর ও তার দুই স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দিয়েছিলো দুদক। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। গত ১১ জুলাই মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। তার আগে গত ৪ জুলাই মতিউর ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।