ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিবি হেফাজত থেকে সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা লিখিত বার্তায় এই ঘোষণা দেন।

এ সময় সমন্বয়করা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এর প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হন। এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার দাবি করছি।

তারা আরও জানান, আমাদের দাবি ছিল কোটা সংস্কার। যা এরমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানাই।

তাই এ মুহূর্ত থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি বলে নাহিদ ইসলাম সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে লিখিত বার্তা পাঠ করেন।

লিখিত বার্তায় স্বাক্ষর করেন- আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, সারজিস আলম,আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। এক পর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধ দেয়। এক পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

ডিবি হেফাজত থেকে সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা লিখিত বার্তায় এই ঘোষণা দেন।

এ সময় সমন্বয়করা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এর প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হন। এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার দাবি করছি।

তারা আরও জানান, আমাদের দাবি ছিল কোটা সংস্কার। যা এরমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানাই।

তাই এ মুহূর্ত থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি বলে নাহিদ ইসলাম সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে লিখিত বার্তা পাঠ করেন।

লিখিত বার্তায় স্বাক্ষর করেন- আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, সারজিস আলম,আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। এক পর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধ দেয়। এক পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করা হয়।