ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত ও খণ্ডিত করে প্রচার করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের একাংশ বিশৃঙ্খল সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি। অথচ তার বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা চলছে।

রোববার (১৪ জুলাই) গণভবনে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোটা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেছেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, এই বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না। আদালত থেকে রায় আসুক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

এ সময় তিনি আরও বলেন, সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সমান যোগ্যতা সম্পন্ন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকারের সন্তানের মধ্যে আমি অবশ্যই একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বেছে নিবো। কারণ তাদের পূর্বপ্রজন্ম দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীকে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মেধা ও কোটার মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোটা থেকে যারা নিয়োগ পায়, তারাও মেধাবী, তারাও প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইবা পাস করে আসে। তারপর যখন সমান নম্বর প্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, একজন রাজাকারের সন্তান তখন আপনি কাকে বেছে নেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবশ্যই। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাকরি পাবে না? রাজাকারের সন্তান চাকরি পাবে?

অথচ কারো বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করা বাংলাদেশের দণ্ডবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একইভাবে অনলাইনে ‘অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন’, তবে তা সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

৭১ সালে রাজাকাররা ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিলো। উপরন্তু তারা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী, পাকিস্তানপন্থী। বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের খুনি-ধর্ষক ও স্বাধীনতার বিরোধীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ রাষ্ট্রদ্রোহমূলক এবং ঘৃণ্য একটি অপরাধ।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন তা তারা আবার শুনে দেখতে পারে। কোনভাবেই তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃতি করে প্রচার করছে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত ও খণ্ডিত করে প্রচার করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের একাংশ বিশৃঙ্খল সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি। অথচ তার বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা চলছে।

রোববার (১৪ জুলাই) গণভবনে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোটা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেছেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, এই বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না। আদালত থেকে রায় আসুক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

এ সময় তিনি আরও বলেন, সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সমান যোগ্যতা সম্পন্ন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজাকারের সন্তানের মধ্যে আমি অবশ্যই একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বেছে নিবো। কারণ তাদের পূর্বপ্রজন্ম দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীকে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মেধা ও কোটার মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোটা থেকে যারা নিয়োগ পায়, তারাও মেধাবী, তারাও প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইবা পাস করে আসে। তারপর যখন সমান নম্বর প্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, একজন রাজাকারের সন্তান তখন আপনি কাকে বেছে নেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অবশ্যই। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাকরি পাবে না? রাজাকারের সন্তান চাকরি পাবে?

অথচ কারো বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করা বাংলাদেশের দণ্ডবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একইভাবে অনলাইনে ‘অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন’, তবে তা সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

৭১ সালে রাজাকাররা ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিলো। উপরন্তু তারা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী, পাকিস্তানপন্থী। বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের খুনি-ধর্ষক ও স্বাধীনতার বিরোধীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ রাষ্ট্রদ্রোহমূলক এবং ঘৃণ্য একটি অপরাধ।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন তা তারা আবার শুনে দেখতে পারে। কোনভাবেই তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃতি করে প্রচার করছে তারা।