গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় দলের ভাবমূর্তি কিয়দংশ ক্ষুন্ন হচ্ছে। তবে এরা কেউ দলের লোক নয়। তারপরও আমাদের দলের উপর এর প্রভাব পড়ে না, অন্য কেউ অস্বীকার করলেও আমি অস্বীকার করবো না।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনটা প্রমাণিত হয়েছে, কোনটি প্রমাণিত হয়নি এটা নিয়ে কথা বলতে পারবো না। কারন প্রমান হওয়া না হওয়াটা আদালতের উপর নির্ভরশীল। আমি চাই দূর্নীতির সবগুলো মামলাই বিচারে যাক। বিচারে গিয়ে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিচার ও শাস্তি হবে। পত্রিকার লিখনীতে বা টেলিভিশনের কন্ঠে প্রমাণিত এটা আমি বলতে পারবো না। কেননা আমি প্রমাণে বিশ্বাস করি, আদালতও প্রমাণে বিশ্বাস করে।

ঢাকা শহরে আবাসনে অগ্নিকান্ড সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে ইতোমধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি বিচার বিশ্লেষণ করে দেখবে কেন অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া আরো একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে কিভাবে অগ্নি কান্ড প্রতিরোধ করা যায়।

এর আগে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে প্রথমে মন্ত্রী হিসাবে ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাভপতি হিসাবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এসময় গোপালগঞ্জ গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজি আবু হানিফ, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. বাহাদুর আলি, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জিএম সাহাবউদ্দিন আজম, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা আওয়ামী সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল বারি চৌধুরী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস সহ গোপালগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।