তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে সড়কের কার্পেটিং
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
ঠাকুরগাঁওয়ে তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে সড়কের কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। দায়সারাভাবে কাজ করায় পরদিনই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এ নিয়ে অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ফলে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন যানবাহন ও পথচারীরা। আর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি রেগে যান বলে জানান এলাকাবাসী।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধুলামিশ্রিত পাথর ব্যবহারের সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও তা মানা হয়নি। তবে কাজ শেষে বিল পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকৌশলীরাই সহযোগিতা করেন।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর-বাঘমারা পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ২০ লাখ টাকায় ওই রাস্তার এক হাজার মিটার অংশ ১৫ মিলিমিটার সিলকোড কার্পেটিং করার কাজ পায় আব্দুস সামাদ নামে এক ঠিকাদার।
নিয়ম না মেনে এলজিইডিকে ম্যানেজ করে গেল কয়েকদিন ধরে রাতের আদারে বৃষ্টির মধ্যেই সেই রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ করেন ঠিকাদারের লোকজন। পরে লোকজন রাস্তা দিয়ে হাঁটলে জুতার সঙ্গে উঠে আসে কার্পেটিং।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করে। পা দিয়ে ঘষা দিলেই উঠে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বৃদ্ধ বলেন, সরকার এতো টাকা খরচ করে রাস্তা করেছে, সেখানে এলজিইডি ও ঠিকাদারের দুনীর্তির কারণে সব টাকা জলে গেল।
তবে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন সমস্যা হলে পরবর্তী কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, আমরা চেষ্টা করি ভালভাবে কাজ বাস্তবায়ন করে নেয়ার। এলাকার মানুষ অভিযোগ করে ছিলো। তখন কাজ ভালই হচ্ছিল। এখন কেনো উঠে যাচ্ছে খতিয়ে দেখা হবে।