প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে যা জানালো পিএসসি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য । বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের( বিপিএসসি) ৬ কর্মকর্তা- কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ।
প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত ১২ বছর ধরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস( বিসিএস) এবং অন্যান্য নন- ক্যাডার পরীক্ষা সম্পর্কে কোনও মহল থেকে কখনোই কোনো ধরনের অভিযোগ ছিল না । তাই ওই সময়ের সব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করে সরকারি কর্ম কমিশন( পিএসসি) ।
সোমবার( ৮ জুলাই) রাতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় । বিঞ্জপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বিপিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান । ‘ চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন বিষয়ে পিএসসির বক্তব্য ’ শিরোনামের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি চ্যানেল ২৪- এ এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে এতে করে বিপিএসসির ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে ।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, গত ১২ বছরে বিপিএসসিতে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন- ক্যাডার পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো মহল থেকে কখনোই কোন ধরনের অভিযোগ ছিল না । বিধায় এটি প্রমাণিত যে, ওই সব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে । এ সময়ে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন- ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে নতুন করে কোনোরূপ অভিযোগ উত্থাপনের অবকাশ নেই ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের নন- ক্যাডার ‘ উপসহকারী প্রকৌশলী ’ পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ওইদিন পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে প্রতিবেদকের( চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টিভির) হোয়াটসঅ্যাপে আসে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে । স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রতিটি বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬ সেট প্রশ্নপত্র এবং নন- ক্যাডার পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪ সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় । কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা নির্ধারণ করতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট আগে । সেটাও লটারির মাধ্যমে ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ, ‘ কমিশনের আওতাভুক্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র সমীক্ষণ ও মুদ্রণ সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে করা হয় এবং তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয় । এসব কারণে পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে ।
বিপিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম সব মহলে প্রশংসিত উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপিএসসির কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজসহ জনমনে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে । সেই আস্থা ও বিশ্বাস সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে যথাসময়ে অভিযোগ না হওয়া সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বা প্রতারণা বা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত প্রমাণ হয়, তাহলে কমিশন সংশ্লিষ্টের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ।