ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় মাফিয়াদের হাতে আটক স্বামী, আদালতের দ্বারস্থ স্ত্রী

চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ টুটু, সালথা (ফরিদপুর)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ১০৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসে গিয়ে মাফিয়াদের হাতে আটক হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে মো. মকবুল ঠাকুর (মুকুল ঠাকুর) নামক এক ব্যক্তি। অসুস্থ স্বামীকে মুক্ত করতে বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন স্ত্রী মোছা: নাসিমা বেগম। দাবীকৃত কোটি টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই যাচ্ছে লিবিয়ায় অবস্থানরত মাফিয়ারা। মুকুল ঠাকুর ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মৃত হাসেন ঠাকুরের ছেলে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুকুল ঠাকুর স্বল্প বেতনে লিবিয়ায় কাজ করে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী হারুন ফকির, অহিদ ফকির, শান্ত ফকির, লালমিয়া ফকির ও মুছা ফকিরসহ কয়েকজন ভালো বেতনের আশ্বাস দিয়ে পুনরায় লিবিয়া যেতে বলে। মুকুল ঠাকুর সরল মনে সব কিছু বিশ্বাস করে পুনরায় লিবিয়াতে পাড়ি জমায়। কিছুদিন পর হঠাৎ হারুন ফকির ও শান্ত ফকির লিবিয়ায় যায়। সেখানে তারা নিয়মিত মুকুল ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ করে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬জুন হারুন ফকির ও অহিদ ফকির মুকুল ঠাকুরের কর্মস্থলে যায় এবং মুকুল ঠাকুরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যায়। সেখানে নিয়ে মুকুল ঠাকুরকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। যেখানে মুকুল ঠাকুর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

এদিকে, বিচারের আশায় মকবুল ঠাকুরের স্ত্রী মোছা: নাসিমা বেগম গত ২৪ জুন ফরিদপুরে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। নির্যাতনের ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। ফলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া দরকার। তবে মাফিয়াদের কথা মতো এক কোটি টাকা না দিলে মুক্তি মিলবে না বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা। মাঝে মাঝে মাফিয়ারা মুকুল ঠাকুরকে নির্যাতনের বর্ণনা দিলে পরিবারের সদস্যরা হাহাকার করে উঠে। এ ঘটনা দ্রুত মুকুল ঠাকুরকে উদ্ধার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে পরিবার ও স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে হারুন ফকির, শান্ত ফকির ও ফকির প্রবাসে লিবিয়াতে রয়েছে বলে জানায়। লালমিয়া ফকির ও মুছা ফকির বাইরে কাজে গেছে বলে জানা যায়। হারুন ও শান্ত দালালের হাতে আটক থেকে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে গোপনে লিবিয়ায় রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে জোর চেষ্টা করছে পরিবার। তারা মুকুল ঠাকুরকে বিদেশে পাঠানো ও মাফিয়াদের কাছে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলা রুজুর পর তদন্ত সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লিবিয়ায় মাফিয়াদের হাতে আটক স্বামী, আদালতের দ্বারস্থ স্ত্রী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

প্রবাসে গিয়ে মাফিয়াদের হাতে আটক হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে মো. মকবুল ঠাকুর (মুকুল ঠাকুর) নামক এক ব্যক্তি। অসুস্থ স্বামীকে মুক্ত করতে বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন স্ত্রী মোছা: নাসিমা বেগম। দাবীকৃত কোটি টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েই যাচ্ছে লিবিয়ায় অবস্থানরত মাফিয়ারা। মুকুল ঠাকুর ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মৃত হাসেন ঠাকুরের ছেলে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুকুল ঠাকুর স্বল্প বেতনে লিবিয়ায় কাজ করে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী হারুন ফকির, অহিদ ফকির, শান্ত ফকির, লালমিয়া ফকির ও মুছা ফকিরসহ কয়েকজন ভালো বেতনের আশ্বাস দিয়ে পুনরায় লিবিয়া যেতে বলে। মুকুল ঠাকুর সরল মনে সব কিছু বিশ্বাস করে পুনরায় লিবিয়াতে পাড়ি জমায়। কিছুদিন পর হঠাৎ হারুন ফকির ও শান্ত ফকির লিবিয়ায় যায়। সেখানে তারা নিয়মিত মুকুল ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ করে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬জুন হারুন ফকির ও অহিদ ফকির মুকুল ঠাকুরের কর্মস্থলে যায় এবং মুকুল ঠাকুরকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যায়। সেখানে নিয়ে মুকুল ঠাকুরকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। যেখানে মুকুল ঠাকুর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

এদিকে, বিচারের আশায় মকবুল ঠাকুরের স্ত্রী মোছা: নাসিমা বেগম গত ২৪ জুন ফরিদপুরে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। নির্যাতনের ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। ফলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া দরকার। তবে মাফিয়াদের কথা মতো এক কোটি টাকা না দিলে মুক্তি মিলবে না বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা। মাঝে মাঝে মাফিয়ারা মুকুল ঠাকুরকে নির্যাতনের বর্ণনা দিলে পরিবারের সদস্যরা হাহাকার করে উঠে। এ ঘটনা দ্রুত মুকুল ঠাকুরকে উদ্ধার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে পরিবার ও স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে হারুন ফকির, শান্ত ফকির ও ফকির প্রবাসে লিবিয়াতে রয়েছে বলে জানায়। লালমিয়া ফকির ও মুছা ফকির বাইরে কাজে গেছে বলে জানা যায়। হারুন ও শান্ত দালালের হাতে আটক থেকে মুক্তি পেয়ে বর্তমানে গোপনে লিবিয়ায় রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে জোর চেষ্টা করছে পরিবার। তারা মুকুল ঠাকুরকে বিদেশে পাঠানো ও মাফিয়াদের কাছে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলা রুজুর পর তদন্ত সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবে ।