গৃহবধূ মেরিনা হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
যশোরে গৃহবধূ মেরিনা হত্যা মামলায় স্বামী আনিসুর রহমান রিপনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ দেন। একইসাথে মামলা থেকে আনিসুরের মা নাসিমা বেগম এবং বাবা মোস্তফা দপ্তরিকে খালাস দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত আনিসুর রহমান ওরফে রিপন কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে মেরিনা খাতুনের সাথে রিপনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রিপনকে নগদ চার লাখ টাকা দেয় মেরিনার পরিবার। কিছুদিন পর আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রিপন ও তার পরিবারের সদস্যরা। টাকা না দেয়ায় তারা মেরিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
একপর্যায় ২০২২ সালের ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে রিপন নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফেরে এবং যৌতুকের দুই লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় রিপন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মেরিনাকে গুরুতর জখম করে। এসময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে মেরিনাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছর ১১ মে দুপুরে মারা যান মেরিনা। এরপরই পালিয়ে যায় রিপন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রিপন, তার বাবা , মা, খালাতো ভাই পাজিয়া গ্রামের আল আমিন ও চাচা সাহেব আলীকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর রিপন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ৫জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন কেশবপুর থানার এসআই লিখন কুমার সরকার। বিচারক চার্জগঠনের সময় এ মামলার দুই আসামি সাহেব আলী ও আল আমিনকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে রিপনকে ফাসির আদেশ ও তার বাবা-মাকে খালাস প্রদান করেন।