ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাট জজকোর্টর জিপি মোমিন মারা গেছেন

সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জিপি মোমিন আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন। রোববার (৩০জুন) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে যান।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনে সমস্ত পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক -মজুর যখন ঐক্যবদ্ধ সেই সময়ে তিনি সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুলের ছাত্র হিসেবে রাজপথে থেকে ছয় দফার পক্ষে সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর, মালিবাগ এলাকায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ছয় দফা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করায় ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৮ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি । ১৯৭০ সালে জয়পুরহাট মহকুমা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত এজিএস প্রার্থী ছিলেন। ১৯৭২ সালে জয়পুরহাট মহকুমা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

১৯৮৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়পুরহাট সরকারি কলেজ মাঠের জনসভায় নেত্রীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগের যোগদান করেন। পরবর্তী কাউন্সিলে জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন পান । ১৯৯১ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সারা দেশের ন্যায় জয়পুরহাটে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠে। এসময় জয়পুরহাট কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে সেই আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ৯০ দশকের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে জয়পুরহাটে গণমানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন ।

১৯৯২-৯৩ সালে জয়পুরহাটে ঐতিহ্যবাহী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পাঁচবার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জেলা ডায়াবেটিস সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি হিসেবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় কাজ করেন। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে অসহায় দুঃস্থ মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি হিসেবে খেলার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ্যাডঃ মোমিন আহমেদ চৌধুরী ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাস্ট্র বিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। মোমিন আহমেদ চৌধুরী জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে পরিশুদ্ধ শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে কাজ করা প্রগতিশীল চিন্তার একজন মানুষ ছিলেন । বাদ এশা জানাযার পর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাট জজকোর্টর জিপি মোমিন মারা গেছেন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জিপি মোমিন আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন। রোববার (৩০জুন) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে যান।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনে সমস্ত পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক -মজুর যখন ঐক্যবদ্ধ সেই সময়ে তিনি সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুলের ছাত্র হিসেবে রাজপথে থেকে ছয় দফার পক্ষে সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর, মালিবাগ এলাকায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ছয় দফা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করায় ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৮ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি । ১৯৭০ সালে জয়পুরহাট মহকুমা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত এজিএস প্রার্থী ছিলেন। ১৯৭২ সালে জয়পুরহাট মহকুমা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

১৯৮৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়পুরহাট সরকারি কলেজ মাঠের জনসভায় নেত্রীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগের যোগদান করেন। পরবর্তী কাউন্সিলে জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন পান । ১৯৯১ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সারা দেশের ন্যায় জয়পুরহাটে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠে। এসময় জয়পুরহাট কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে সেই আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ৯০ দশকের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে জয়পুরহাটে গণমানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন ।

১৯৯২-৯৩ সালে জয়পুরহাটে ঐতিহ্যবাহী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পাঁচবার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জেলা ডায়াবেটিস সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি হিসেবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় কাজ করেন। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে অসহায় দুঃস্থ মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি হিসেবে খেলার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ্যাডঃ মোমিন আহমেদ চৌধুরী ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাস্ট্র বিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। মোমিন আহমেদ চৌধুরী জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে পরিশুদ্ধ শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে কাজ করা প্রগতিশীল চিন্তার একজন মানুষ ছিলেন । বাদ এশা জানাযার পর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।