সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবছে ঠাকুরগাঁও
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
বেহাল দশা ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বেশকয়েকটি এলাকার ড্রেনেজের। এর ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক ও বাজারে পানি জমে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। বর্ষাকাল আসতে না আসতেই শহরের এই অবস্থায় নাজেহাল মানুষ।
ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারনে পানি নিস্কাশনে না হওয়ায় দোকানপাটের ভেতর ঢুকছে পানি। এতে করে আসবাবপত্র ও জিনিস নষ্ট ও ভিজে যচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চললেও তা নিরসনের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
বুধবার (১২ জুন) সকালে সরেজমিনেদেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলি সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও হাঁটু পানি। আর এই পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ময়লা পানি ও ভ্যাপসা গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।
ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, পানিতে ডুবলেও খোঁজ নিতে আসেন না কাউন্সিলর। এমনকি মেয়রেরও দেখা মেলে না। পৌরবাসী দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এমন ভোগান্তি ভোগ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে নিচ্ছেন না কোনো উদ্যোগ।
জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে ঠাকুরগাঁও শহরের নরেশ চৌহান সড়ক, গোয়ালপাড়া, নর্থ সার্কুলার রোড, কলেজপাড়া, কালিবাড়ি, শাহপাড়া, মুসলিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ড্রেনেজগুলোর বেহাল দশার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রনি বলেছেন, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। রাস্তাটিও নিচু। তারপর ড্রেনও অপরিষ্কার। একটু বৃষ্টি হলেই শহরে কোথাও পানি জমুক আর না জমুক, এই এলাকায় পানি জমবেই।
নরেশ চৌহান সড়কের ব্যবসায়ী উজ্জল, মুকুলসহ অনেকে জানান, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আর কি বলার থাকবে। পানি ঢুকে ব্যবসায়ীক সামগ্রীসহ জিনিসপত্র ক্ষতি হচ্ছে এ দায় কে নিবে। পৌর মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা দাবি করি ব্যবস্থায় উদ্যোগ নিন। না হলে সড়কে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মকসেদ বলেন, ড্রেন পরিস্কার করতে মেয়র ও কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সংস্কার না করায় ড্রেন দিয়ে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। এর ফলে বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়।
এ বিষয়ে সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে ডুবে যায়। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই সাথে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুদাম সরকার জানান, এই মেয়রের সময়কালে কাউন্সিলররাও বিরক্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি কোন ভূমিকাই রাখছেন না। আর সেই কারনে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা এ বিষয়ে বলেছেন, প্রকল্প এলে প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করা হবে৷