মুঘল ঐতিহ্যে মোড়া ‘আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট’র নতুন ভবন উদ্বোধন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১১ বার পড়া হয়েছে
মুঘলদের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাস সবার কাছে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে ২০২১ এ যাত্রা শুরু করেছিলো আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট । ঐতিহ্যবাহী মুঘল খাবারের আয়োজন নিয়ে ঢাকার একমাত্র কনসেপ্ট রেস্টুরেন্ট এটি । এবার আরও বড় পরিসরে রাজসিক ছোয়ায় ৩০০ ফিট সংলগ্ন নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হলো রেস্টুরেন্টটি ।
সোমবার ( ৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা( আইসিসিবি) হল- ১ সংলগ্ন নিজস্ব প্রাঙ্গনে আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভবনটির উদ্বোধন করা হয় ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসারএম.এম, জসীম উদ্দীন । এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ট্রেজারার ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর এ চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, আইসিসিবি হেড অফ ডিভিশন একাউন্টস এস, এম, মনিরুল ইসলাম পলাশ সহ আইসিসিবি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।
উদ্বোধনী বক্তব্যেএম.এম, জসীম উদ্দীন বলেন, মুঘল রাজ পরিবারের পোশাক- আশাক ও খাদ্যাভ্যাস যেন এক হিরণ্ময় স্মৃতি । একেকটি রহস্যে ঘেরা গল্প । সেই জৌলুসময় জীবনাচরণের ইতিহাস আজ বিলুপ্তপ্রায় । মুঘলদের খাদ্যাভ্যাস নতুন প্রজন্মকে আমরা জানাতে চেষ্টা করেছি । চেষ্টা করেছি, তাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে । আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে ঢাকার মানুষ পরখ করতে পারবেন সেসব অসাধারণ খাবারের আয়োজন এবং উপলব্ধি করতে পারবেন রাজসিক জীবন ।
ভোজন রসিকদের অনুরোধে নতুন ভবনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে এম. এম. জসীম উদ্দীন বলেন, পূর্বেকার ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক গ্রাহককে আমরা একসঙ্গে জায়গা দিতে পারতাম না । এখনকার আয়োজনে বড় গ্রুপকে আমরা সাবলীলভাবেই বসে খাবার উপভোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো । সেই সঙ্গে ৩০০ ফিট এর দৃষ্টিনন্দন লেক এবং সড়ক’র সৌন্দর্য রেস্টুরেন্ট থেকেই উপভোগ করা যাবে ।
এস. এম. মনিরুল ইসলাম পলাশ বলেন, আইসিসিবিতে চালু হওয়া হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশের একটি বিশেষ রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । কারণ শুধু মুঘল খাবারের কোনো রেস্টুরেন্ট এখনও বাংলাদেশে হয়নি । পুরো রেস্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে মুঘল ঐতিহ্যকে ধারণ করে । আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট কেবল উদরপূর্তির মাধ্যম হওয়ার জন্য আসেনি, এসেছে একটি শিল্পকে একটা ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ।
অনুষ্ঠানে আগত এক অথিতি বলেন, মুঘলদের রান্নার স্বাদ ও রাজকীয়তার মেলবন্ধন যুগের পর যুগ মানুষের রসনাকে তৃপ্তি দিয়ে আসছে । আজও আমরা সে লোভনীয় খাবারের রসাস্বাদন করি । কিন্তু সত্যিকার সেই স্বাদ আয়োজনের ঘাটতি বর্তমানে লক্ষণীয় । ধন্যবাদ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে এবং আইসিসিবিকে এ রাজসিক পদক্ষেপের জন্য ।