ইক্ষু খামার থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহরণের ৩দিন পর এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের একটি পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোঃ সাব্বির (১৬) উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে স্থানীয় বিশুবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে সেফটি ট্যাংকের মধ্যে মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে সাব্বিরের দুই বন্ধু মিলে তাকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন সাব্বির বাড়িতে না ফিরলে সন্ধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান শেষে অভিযুক্ত দুই বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, টাকার বিনিময়ে তারা সাব্বিরকে তার ভগ্নিপতি ইউনুস আলীসহ ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে রাতে থানায় খবর দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরেরদিন রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সাব্বিরের পিতা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অভিযুক্ত ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার প্রধান আসামী উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে তরফকামাল (শিয়ালগারা) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আমজাদ আলীর ছেলে মোঃ ইউনুস আলী (৩৫) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, জেলহাজতে থাকা মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তারের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (১৮) ও বিশুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল আলীম (১৮)।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, কিশোর সাব্বিরের মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।