ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় চলতি বছর ৩১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরতপাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে রয়েছেন ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এবং বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

ঢাকায় পৌঁছানো এসব নাগরিকদের মধ্যে তিনজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়ে আসেন। বাকিদের পাঠানো হয় বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড ফ্লাইটে। সর্বশেষ গত শনিবার চার্টার্ড একটি ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়।

ফেরত আসা নোয়াখালীর এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে জানান, তাকে সম্মানের সঙ্গেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করা হয়নি বলেও তিনি জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন, যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

পুলিশের বিশেষ শাখার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের যাতে সম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো হয়, সেজন্য শুরু থেকেই কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার। মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে হাতকড়া কিংবা সামরিক বিমানের ব্যবহার এড়ানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ তা যাচাই-বাছাই করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অভিবাসন-সংক্রান্ত নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো। ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে সম্পৃক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য সংস্থাটি বিমানবন্দরে সহায়তা প্রদান করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা নাগরিকদের ক্ষেত্রেও তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন সংক্রান্ত নীতি কঠোর করে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় চলতি বছর ৩১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরতপাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে রয়েছেন ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এবং বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

ঢাকায় পৌঁছানো এসব নাগরিকদের মধ্যে তিনজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়ে আসেন। বাকিদের পাঠানো হয় বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড ফ্লাইটে। সর্বশেষ গত শনিবার চার্টার্ড একটি ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়।

ফেরত আসা নোয়াখালীর এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে জানান, তাকে সম্মানের সঙ্গেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করা হয়নি বলেও তিনি জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন, যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

পুলিশের বিশেষ শাখার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের যাতে সম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো হয়, সেজন্য শুরু থেকেই কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার। মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে হাতকড়া কিংবা সামরিক বিমানের ব্যবহার এড়ানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ তা যাচাই-বাছাই করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অভিবাসন-সংক্রান্ত নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো। ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে সম্পৃক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য সংস্থাটি বিমানবন্দরে সহায়তা প্রদান করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা নাগরিকদের ক্ষেত্রেও তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন সংক্রান্ত নীতি কঠোর করে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়।