মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে বড় চুক্তি বাংলাদেশের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন প্রকল্প উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে আর্জেন্ট এলএনজি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ৫০ লাখ মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বাংলাদেশ।
পক্ষগুলো জানিয়েছে, এই চুক্তি মার্কি ননতুন প্রশাসনের জ্বালানি-সমর্থনকারী নীতির প্রতি শিল্পখাতের আস্থার প্রতিফলন।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় আর্জেন্ট এলএনজি বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা আড়াই কোটিতে উন্নীত করার কাজ চলছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এতে বলা হয়, পোর্ট ফরচোনে এই কোম্পানির প্রকল্প চলমান। তা সম্পন্ন হলে তাদের কার্গোতে করে পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাস বিক্রি করবে।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে যেসব দেশে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই সেসব দেশে এলএনজি রপ্তানির লাইসেন্স স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “এই চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও শক্তিশালী করবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক এবং ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের রপ্তানি সক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার আশা করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা।
যদি লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরশনে আর্জেন্ট এলএনজি প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়, তবে তার পণ্যসম্ভার বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকে সরবরাহ করা যেতে পারে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে এবং এলএনজি ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তবে দামের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সস্তা কয়লা ব্যবহারে ফিরে গিয়েছিল।