ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেআইনি অভিবাসন এড়াতে সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’

আমেরিকার সোনালি যুগ শুরু

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

ডোনাল্ড ট্রাম্প- ছবি: রয়টার্স

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হলো। দেশের নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাই তার প্রথম অগ্রাধিকার। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই এ কথা ঘোষণা করলেন তিনি। আর সেই স্বার্থরক্ষায় অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর পাশাপাশি, আমদানি শুল্ক বাড়ানোই তার ‘অস্ত্র’ বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

শপথের পর প্রথা মেনে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, জো বাইডেনদের ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যাপিটল হিলের রোটান্ডার সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম বক্ততা করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, আজ আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হলো। আমি আবার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ (আমেরিকার স্বার্থরক্ষা প্রথম অগ্রাধিকার) চালু করব। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে দেবো।

‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কথা প্রচারের সময় বারবার বলেই ভোটারদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, এত দিন আমেরিকায় যে-টুকু ভাল হয়েছে, তার মুনাফা লুটেছে শুধু ক্ষমতার অলিন্দে বসে থাকা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তিনি যদি ক্ষমতায় আসেন, সেই ছবি আমূল পাল্টে দেবেন। অন্য দেশ বা অভিবাসী নয়, অগ্রাধিকার দেবেন আমেরিকার নাগরকিদের স্বার্থরক্ষায়। তার ‘মাগা’ (‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’) স্লোগানও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অতিমারি পরবর্তী মন্দায় আক্রান্ত আমেরিকায় কর্মসংস্থানের আশ্বাসে ভরসা রেখেছিলেন সে দেশের নাগরিকেরা।

শপথের আগেই ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই তিনি ‘প্রায় ১০০’ নির্বাহী আদেশে সই করবেন। ওই নির্দেশনামাগুলির অনেকগুলোতেই বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বাতিল করে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় অন্যতম হল, ‘বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন’। ক্যাপিটলে সোমবার তার ঘোষণা, বেআইনি অভিবাসন এড়াতে দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করব।

প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বেআইনি অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। এ বারও তার ঘোষণার ‘লক্ষ্য’ মেক্সিকো বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি ঠেকাতে কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পূর্বসূরি বাইডেনের জমানাতেই গাজ়ায় ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে এখনও রক্ত ঝরছে। ট্রাম্পের ঘোষণা- আমি শান্তি এবং ঐক্য ফেরানোর কাজ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেআইনি অভিবাসন এড়াতে সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’

আমেরিকার সোনালি যুগ শুরু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হলো। দেশের নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাই তার প্রথম অগ্রাধিকার। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই এ কথা ঘোষণা করলেন তিনি। আর সেই স্বার্থরক্ষায় অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর পাশাপাশি, আমদানি শুল্ক বাড়ানোই তার ‘অস্ত্র’ বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

শপথের পর প্রথা মেনে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, জো বাইডেনদের ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যাপিটল হিলের রোটান্ডার সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম বক্ততা করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, আজ আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হলো। আমি আবার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ (আমেরিকার স্বার্থরক্ষা প্রথম অগ্রাধিকার) চালু করব। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে দেবো।

‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কথা প্রচারের সময় বারবার বলেই ভোটারদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, এত দিন আমেরিকায় যে-টুকু ভাল হয়েছে, তার মুনাফা লুটেছে শুধু ক্ষমতার অলিন্দে বসে থাকা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তিনি যদি ক্ষমতায় আসেন, সেই ছবি আমূল পাল্টে দেবেন। অন্য দেশ বা অভিবাসী নয়, অগ্রাধিকার দেবেন আমেরিকার নাগরকিদের স্বার্থরক্ষায়। তার ‘মাগা’ (‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’) স্লোগানও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। অতিমারি পরবর্তী মন্দায় আক্রান্ত আমেরিকায় কর্মসংস্থানের আশ্বাসে ভরসা রেখেছিলেন সে দেশের নাগরিকেরা।

শপথের আগেই ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই তিনি ‘প্রায় ১০০’ নির্বাহী আদেশে সই করবেন। ওই নির্দেশনামাগুলির অনেকগুলোতেই বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বাতিল করে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় অন্যতম হল, ‘বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন’। ক্যাপিটলে সোমবার তার ঘোষণা, বেআইনি অভিবাসন এড়াতে দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করব।

প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বেআইনি অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে প্রবল বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। এ বারও তার ঘোষণার ‘লক্ষ্য’ মেক্সিকো বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি ঠেকাতে কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পূর্বসূরি বাইডেনের জমানাতেই গাজ়ায় ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে এখনও রক্ত ঝরছে। ট্রাম্পের ঘোষণা- আমি শান্তি এবং ঐক্য ফেরানোর কাজ করব।