ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটার হতে লাগবে যেসব তথ্য
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ছবি তোলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
নাগরিকদের ভোগান্তি এড়াতে তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং আজ থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি, তালিকা থেকে বাদ পড়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ এবং মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ভোটার হতে যেসব তথ্যের প্রয়োজন হবে:
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি।
৩. নিকট আত্মীয়ের (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি।
৪. এসএসসি, দাখিল, সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)।
ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
১. নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
২. জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
৪. কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-১০ সাল, ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০ ও ২০২২-২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি। বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৩২ জন।
ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। সারাদেশে ১১ হাজার ৮০১ জন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ৫৫ হাজার ১৬ জন তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করবেন। বর্তমানে খসড়া তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন, এবং নির্বাচন কমিশনের ধারণা, এবার ১৯ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হবে।