ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ ফেব্রুয়ারি থেকে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ জারি করায় হতাশ দ্বীপের বাসিন্দারা।

এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর নানা জটিলতার মধ্যে কক্সবাজার নুনিয়া ছড়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ পৌঁছে।

সেন্টমার্টিনের হোটেল রয়েল বিচের পরিচালক জাহেদ হোসেন বলেন, নানা জটিলতায় পর্যটক মৌসুমের শুরুতে দ্বীপে পর্যটক আসেনি। এতে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর ১ ডিসেম্বর পর্যটক দ্বীপে আসা শুরু করে। কিন্তু চাহিদা পরিমাণ ব্যবসা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিগত বছরের পর্যটকরা একমাস আগে থেকে হোটেলের রুম বুকিং দিয়ে রাখতেন। এখন পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন রুম খালি থেকে যাচ্ছে। সব হোটেলে একই অবস্থা হাহাকার বিরাজ করছে। বিগত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে দ্বীপে পর্যটকদের ভরপুর হয়। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে দ্বীপে ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক আসার সম্ভাবনা নাই বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ছৈয়দ আলম মেম্বার বলেন, যে পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছেন সেটি বিগত সময়ের তুলনায় খুব কম। দ্বীপের হোটেল-রেস্তোরাঁ ছাড়াও ছোট-বড় শুঁটকি, পান ও চায়ের দোকান, মাছ বিক্রেতা, ভ্যান ও রিকশা, টমটমচালক (অটোরিকশা) সবাই হতাশা। যেখানে আরও দুই মাস আগে দ্বীপে পর্যটক আসার কথা ছিল সেখানে দুই মাস পরে পর্যটক আসতেছে। তাও বিভিন্ন বিধিনিষেধ অনুযায়ী। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটক ব্যবসা। দ্বীপে ৫-৬ মাস পর্যটক আসলে পুরো বছর তারা সংসারের খরচ যোগাড় হয়ে যায়। এখন মাত্র দুই মাস সময় পেয়েছেন তাও চাহিদা অনুযায়ী পর্যটক দ্বীপে আসতেছে না।

টেকনাফ ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, দ্বীপে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক যেতে পারবেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক যেতে পারবে কী পারবে না সেটি সরকার সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি পরে দ্বীপে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ ফেব্রুয়ারি থেকে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ জারি করায় হতাশ দ্বীপের বাসিন্দারা।

এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর নানা জটিলতার মধ্যে কক্সবাজার নুনিয়া ছড়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ পৌঁছে।

সেন্টমার্টিনের হোটেল রয়েল বিচের পরিচালক জাহেদ হোসেন বলেন, নানা জটিলতায় পর্যটক মৌসুমের শুরুতে দ্বীপে পর্যটক আসেনি। এতে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর ১ ডিসেম্বর পর্যটক দ্বীপে আসা শুরু করে। কিন্তু চাহিদা পরিমাণ ব্যবসা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিগত বছরের পর্যটকরা একমাস আগে থেকে হোটেলের রুম বুকিং দিয়ে রাখতেন। এখন পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন রুম খালি থেকে যাচ্ছে। সব হোটেলে একই অবস্থা হাহাকার বিরাজ করছে। বিগত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে দ্বীপে পর্যটকদের ভরপুর হয়। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে দ্বীপে ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক আসার সম্ভাবনা নাই বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ছৈয়দ আলম মেম্বার বলেন, যে পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছেন সেটি বিগত সময়ের তুলনায় খুব কম। দ্বীপের হোটেল-রেস্তোরাঁ ছাড়াও ছোট-বড় শুঁটকি, পান ও চায়ের দোকান, মাছ বিক্রেতা, ভ্যান ও রিকশা, টমটমচালক (অটোরিকশা) সবাই হতাশা। যেখানে আরও দুই মাস আগে দ্বীপে পর্যটক আসার কথা ছিল সেখানে দুই মাস পরে পর্যটক আসতেছে। তাও বিভিন্ন বিধিনিষেধ অনুযায়ী। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটক ব্যবসা। দ্বীপে ৫-৬ মাস পর্যটক আসলে পুরো বছর তারা সংসারের খরচ যোগাড় হয়ে যায়। এখন মাত্র দুই মাস সময় পেয়েছেন তাও চাহিদা অনুযায়ী পর্যটক দ্বীপে আসতেছে না।

টেকনাফ ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, দ্বীপে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক যেতে পারবেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক যেতে পারবে কী পারবে না সেটি সরকার সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি পরে দ্বীপে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে।