বললেন রফিকুল ইসলাম মাদানী
মোদীকে খুশি করতে হাসিনা আলেমদের উপর জুলুম করেছে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেছেন, মোদীকে খুশি করতে শেখ হাসিনা আলেমদের উপর জুলুম করেছে। শেষ পর্যন্ত মোদী হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। কারণ মুসলিমরা জেগে উঠলে পৃথিবীতে কোন জালিম টিকতে পারে নাই। শুধু জালেম হাসিনা যায় নাই। আল্লাহপাক হাসিনাকে পালিয়ে যাওয়াদের রোল মডেল বানিয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে যশোর শহরতলীর পুলেরহাটে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে এ কথা বলেন। আদ্ দ্বীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
নিপীড়নকারী, কর্মীদের রেখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের লোকজন কিভাবে থাকে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আল্লাহ পাক এদের কানের মধ্যে সিল মোহর মেরে দিয়েছে, চোখের সামনে পর্দা ফেলে দিয়েছে। এর শেখ হাসিনার আমলের নির্যাতন দেখেও দেখবে না। কারণে তাদের নেত্রী যেমন নির্লজ্জ বেহায়া, কর্মীরাও নির্লজ্জ বেহায়া।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ আর কোরআন তেলওয়াতের বয়ান শুনিয়ে এমন কোন অপরাধ নেই যা তিনি করেননি। এ জাতি অন্তর থেকে চেয়েছে, তাই আল্লাহ পাক আমাদের শেখ হাসিনার জুলুম থেকে বাঁচিয়েছেন। আমাদের এখন আর একটি পরিবর্তন দরকার, আমাদের মূল বিজয় সেটা। আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে কেউ ব্যঙ্গ করলে তার শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদন্ড।
মাহফিলে তিনি আরো বলেন, আর কোন তন্ত্র মন্ত্র নয়, তন্ত্র মন্ত্র দেখা শেষ, বাংলাদেশ হবে কোরআন সুন্নাহ’র বাংলাদেশ। হয়ত আমরা শাহাদৎ বরণ করবে, নয়তো এ ভূখন্ডে শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা করবো। কালেমার পতাকা দেখলে যেগুলোর জ¦লে সেগুলোকে সাবধান করে দিতে চাই; এ ভূখন্ডে লাইলাহা ইল্লালাহ’র পতাকা উড়বেই। আজ হোক কাল একদিন উড়বেই।
তিনি বলেন, রসুলের ঘোষণা এ ভূখন্ডে হিন্দুত্ববাদী, তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে, দিল্লির বিরুদ্ধে মুসলমানদের গাজওয়াতুল হিন্দ যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হবে। ইনশাল্লাহ দিল্লির লালবাগ কেল্লায় কলেমার পতাকা উড়বে। ফলে এ তরুণরা তৈরি হও, ডাক আসবে শাহাদতের ডাক আসবে।
মাদানী বলেন, যারা ২০১৩ সালে রসুলের সম্মান রক্ষার্থে যারা লেখালেখি করেছিলো তাদের জেলে রেখে জুলুম করা হয়েছে। র’য়ের প্রেসক্রিপশনে ট্যাগ দিয়ে তাদের জঙ্গি বানানো হয়েছে। এক একজন ফাঁসির রায় নিয়ে দিন পার করছে। তারা এখনও মুক্তি পায়নি। আমরা কি তাদের ভুলে যাবো? আমরা আমাদের ভাইদের মুক্তি চাই। তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তাদের মুক্তি ছাড়া আমাদের সকল আলোচনা মূল্যহীন।
দ্বিতীয় দিনের মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখে মফিতি আমির হামজা। শুক্রবার মাহফিলের শেষ দিনে আলোচনায় অংশ নেবেন দেশবরণ্য আলেম ড. মিজানুর রহমান আজাহারি ও শায়খ আহমাদুল্লাহ।